সৌরতে এগিয়ে, বায়ুতে পিছিয়ে বাংলাদেশ
নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্যতম উৎস বায়ু৷ কিন্তু ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চল থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনও এই উৎসের ব্যবহার ততটা করতে পারেনি৷
বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিপিডিবি-র তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১০,৪১৬ মেগাওয়াট৷ এর মধ্যে ১৬ জুলাই রাতে রেকর্ড ৭,৪০৩ মেগাওয়াট পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছিল৷
নবায়নযোগ্য জ্বালানি
বিদ্যুৎ বিভাগের হিসেবে, বর্তমানে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র আড়াই শতাংশ আসে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিভিন্ন উৎস থেকে৷ তবে ২০১৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যাটা ৫-এ উন্নীত করতে চায় সরকার৷
সৌরশক্তি
গত কয়েক বছরে সৌরশক্তি উৎপাদনে বেশ এগিয়েছে বাংলাদেশ৷ বর্তমানে মাসে প্রায় ৮০ হাজার ‘সোলার হোম সিস্টেম’ বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে৷ সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১৬৫ মেগাওয়াট৷
বায়ুশক্তি
সমুদ্র অঞ্চল বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেশ উপযুক্ত৷ বাংলাদেশে প্রায় ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূল রয়েছে৷ কিন্তু তারপরও বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে সরকার এখন পর্যন্ত তেমন একটা নজর দেয়নি৷
মাত্র ২ মেগাওয়াট
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মাত্র দুটো বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে৷ একটি ফেনীর সোনাগাজীতে৷ অন্যটি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়৷ এই দুটোর উৎপাদন ক্ষমতা ২ মেগাওয়াট৷
৬০ মেগাওয়াটের জন্য চুক্তি
গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক ও বাংলাদেশের একটি যৌথ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই করে বাংলাদেশ৷ এর আওতায় কক্সবাজারের কুরুশকুলে বঙ্গোপসাগরের তীরে ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে৷ আগামী মে মাস থেকে উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা৷
‘উইন্ড ম্যাপ’
বায়ু থেকে আরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ২০১২ সালে সরকার ভারতীয় এক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই করে৷ এর আওতায় কোম্পানিটি ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, কুয়াকাটা ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় বাতাসের গতি মেপে দেখছে৷