1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোল-এতে বিশ্ব দর্শন কংগ্রেস

আব্দুল্লাহ আল-ফারুক১২ আগস্ট ২০০৮

বিশ্ব দর্শন কংগ্রেস হয়ে গেল দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোল-এ৷ এশিয়ায় এই কংগ্রেস প্রথম৷ ২২তম দর্শন কংগ্রেসে (৩০জুলাই - ৫ অগাস্ট) বিষয় হিসেবে প্রাধান্য দিয়েছে বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে সংলাপ এবং বর্তমান দুনিয়ায় দর্শনের ভূমিকা৷

https://p.dw.com/p/Evdo
বিশিষ্ট জার্মান দার্শনিক ভিট্টোরিও হোয়েসলের চোখে উডি অ্যালেন

দেড়শোর মত দেশ থেকে তিন হাজারেরও বেশি দার্শনিক উপস্থিত ছিলেন সোল-এর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এই কংগ্রেসে৷ আজকের দিনে দর্শন-ভাবনার দিক পরিবর্তন - এটাই ছিল কংগ্রেসের মটো৷

ভাবনার এই দিক পরিবর্তন কেন জরুরী ? জরুরী এই কারণে যে ক্রমশই বিশ্বায়িত হয়ে উঠছে এই দুনিয়া৷ এবং এরকম এক বিশ্বে বিভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আর দর্শনের মধ্যে সংলাপ সম্ভব করে তোলাটাকে মৌলিক গুরুত্ব দিতে হবে৷ এ কথা বলেছেন ডেনমার্কের বিশিষ্ট দার্শনিক ও বিশ্ব দর্শন সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি পেটার কেম্প৷ তিনি মনে করেন, এ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা এবং নতুন ধ্যানধারণা দেয়া দার্শনিকদের প্রধান দায়িত্ব৷

কংগ্রেসের মূলমন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দর্শন শাস্ত্রের নানা ক্ষেত্র যেমন এথিক্স বা ন্যায়নীতি ও নন্দনতত্ত্ব এবং সংস্কৃতি ও সমাজ দর্শন নিয়ে ভাবনার নতুন ধারা যেমন আলোচিত হয়েছে৷ তেমনি আবার রাজনৈতিক কিছু বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন অংশগ্রহণকারীরা৷

দর্শন কংগ্রেস-এ এবার আর একটি বিষয় খুব গুরুত্ব পেয়েছে৷ এবং তা হল বৌদ্ধ ধর্ম, কনফুসিয়াস-এর শিক্ষা, তাওইজম-এর মত প্রাচ্যদেশীয় ধর্মবিশ্বাস৷ কংগ্রেস-এর সাংগঠনিক কমিটির প্রধান লি মিউং-হিউয়ান বলেছেন, এশিয়ার দর্শন পশ্চিমী দুনিয়ার কাছে প্রায় অপরিচিতই বলা চলে৷ পশ্চিমের কলেজ ইউনিভার্সিটির দর্শন বিভাগে এশিয়ার দর্শন নিয়ে লেকচারের ব্যবস্থা তেমন নেই বললেই চলে৷ আর এই কারণে বিশ্ব দর্শন কংগ্রেস-এর ইতিহাসে প্রথমবারের মত এশিয়ার দর্শনশাস্ত্রের ধারা আলোচনার বিষয় হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে৷

তেল আভিভ-এর হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কংগ্রেসে উপস্থিত ছিলেন মার্সেলো দাসকাল৷ তিনি বলেছেন, দর্শন ভাবনার ক্ষেত্রে কীভাবে একে অন্যের অবস্থানকে নাকচ না করে, বিভিন্নতাকে স্বীকার করে অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হতে পারে কোরিয়ার এই দর্শন কংগ্রেস সেই সম্ভাবনা তুলে ধরেছে আমাদের সামনে৷

বিশিষ্ট জার্মান দার্শনিক ভিট্টোরিও হোয়েসলে মনে করেন, এবারের এই কংগ্রেস যে প্রথমবারের মত কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হল এটা খুবই ইতিবাচক এক ব্যাপার৷ কেননা বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বাস এশিয়ায়৷ কংগ্রেস ইউরোপ বা অ্যামেরিকায় না করে বিশ্বের বৃহত্তম ও জনবহুলতম মহাদেশে অনুষ্ঠিত হল এটা খুবই আনন্দের কারণ বলে তিনি মনে করেন৷ এতে এবার বহুল সংখ্যায় অংশ নিয়েছেন ভারতীয়, চীনা এবং অবশ্যই দক্ষিণ কোরিয়ার দার্শনিকরা৷