1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় কড়া দমন নীতি, সংস্কারের ডাক দিলেন এর্দোয়ান

১৫ জুন ২০১১

সিরিয়ার সরকার বিদ্রোহ দমন করতে সেনা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে৷ অত্যাচার থেকে বাঁচতে দলে দলে মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে তুরস্কে আশ্রয় নিচ্ছে৷ সেদেশের প্রধানমন্ত্রী এর্দোয়ান হিংসা বন্ধ করে সিরিয়ায় সংস্কারের ডাক দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/11aL3
সংবাদ-মাধ্যমকে শুধু এই দৃশ্য দেখাতে চায় সিরিয়ার সরকারছবি: dapd

সেনাবাহিনী ও সরকারের কৌশল

বিদ্রোহীদের সঙ্গে কোনো আপোশ নয়, দমন নীতিই আসাদ প্রশাসনের একমাত্র জবাব৷ আপাতত সরকারি বাহিনীর মূল নজর দেশের উত্তর ও পূর্ব প্রান্তে৷ সেখানে একাধিক শহরে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে কড়া হাতে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ দমন করার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার৷ উত্তরের মারাত আল নুমান শহর ছেড়ে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে৷ স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকের মাধ্যমে শহরবাসীকে সাবধান করে দেওয়া হয়৷ জিসর আল শুগুর গ্রামে কয়েক'শো মানুষকে গ্রেপ্তার করার পর সেনাবাহিনী কাছের এই শহরের দিকে এগিয়েছে৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র অনুযায়ী হেলিকপ্টারে করে সৈন্যদের কাছের একটি ক্যাম্পে নিয়ে আসা হচ্ছে৷ শহরের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ পালিয়ে গেছে৷ কিছু মানুষ আলেপ্পো শহর, বাকিরা বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে৷ একটা বড় দল সীমান্ত পেরিয়ে তুরস্কে যাবার চেষ্টা করছে৷ পূবে ইরাক সীমান্তে তেল সমৃদ্ধ এলাকার দেইর আল জর ও আলবু কামাল শহরে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ি টহল দিচ্ছে৷ আলবু কামাল'এর উপকণ্ঠে ২০টি সাঁজোয়া গাড়ি দেখা গেছে৷ বলাই বাহুল্য, সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দাবি করছে, সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করতেই সফল সেনা অভিযান চলছে, যাতে স্থানীয় মানুষ আবার নির্ভয়ে নিজেদের ভিটে-মাটিতে ফিরতে পারে৷

NO FLASH Krieg in Syrien
তুরস্কে সিরিয়ার শরণার্থীদের শিবিরছবি: AP

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

সিরিয়ার ঘটনাবলির আঁচ সবচেয়ে বেশি পড়ছে উত্তরের প্রতিবেশী তুরস্কের উপর৷ সরকারি সূত্র অনুযায়ী প্রায় ৮,৫০০ সিরীয় নাগরিক সেখানে আশ্রয় নিয়েছে৷ সীমান্ত এলাকায় তাদের জন্য ৪টি শরণার্থী শিবির খোলা হয়েছে৷ সেদেশের প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান টেলিফোনে বাশার আল আসাদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ তিনি বিদ্রোহীদের উপর নির্যাতন বন্ধ করে অবিলম্বে সংস্কারের কাজ শুরু করার ডাক দিয়েছেন৷ এর্দোয়ানের পুনর্নির্বাচনের পর অভিনন্দন জানাতে আসাদ তাঁকে ফোন করেছিলেন৷ তুরস্কের আবেদনের কোনো ফল এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ রাজনৈতিক মঞ্চে বাশার আল আসাদের প্রশাসনকে একঘরে করা অত্যন্ত কঠিন৷ ব্রিটেনের মদতে ফ্রান্স জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে নিন্দার প্রস্তাব আনার চেষ্টা করলেও রাশিয়া ও চীন তাদের ভেটো শক্তি প্রয়োগ করার হুমকি দিয়েছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন ইরানের সমালোচনা করেছেন৷ তাঁর দাবি, ইরান সিরিয়া সরকারের দমন নীতিকে সমর্থন করছে৷ ঠিক দু'বছর আগে প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদের পুনর্নির্বাচনের পর ইরানের সরকার কড়া হাতে বিক্ষোভকারীদের দমন করার কাজ শুরু করেছিল৷

Syrische Flüchtlinge in Hatay Türkei
আতঙ্কিত শরণার্থীরা চলেছেন তুরস্কের সীমান্তের দিকেছবি: picture-alliance/dpa

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য