সিঙ্গাপুর এয়ার শো’তে যা থাকছে
সামগ্রিকভাবে ব্যবসায় মন্দা চললেও সিঙ্গাপুর এয়ার শো দেখে তা বোঝার উপায় নেই৷ আকাশে শ্বাসরুদ্ধকর মহড়া থেকে চিনুক হেলিকপ্টার পর্যন্ত, এভিয়েশন শিল্পের সবকিছুই বিক্রির জন্য হাজির সেখানে৷
মহড়া
সিঙ্গাপুর এয়ার শো উপলক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘ব্লাক ইগলস’ এরোব্যাটিকসের মহড়া দেখা যাচ্ছে ছবিতে৷
বিশেষ ব্যবস্থা
সিঙ্গাপুর এয়ার শো’তে এক হাজার কোম্পানি অংশ নিচ্ছে৷ ধারণা করা হচ্ছে ৪৫ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে ছবিতে৷ ছবিতে বিশেষ সানগ্লাস ব্যবহার করে এয়ার শো দেখছেন দুই দর্শনার্থী৷
যা আশা করা হচ্ছে
বোয়িং ইতোমধ্যে চীনের ওকে ওয়ারওয়েজের সঙ্গে এক দশমিক তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ১২টি বিমান বিক্রির চুক্তি করে ফেলেছে৷ মার্কিন বিমান কোম্পানিটি আশা করছে আগামী বিশ বছরে গোটা বিশ্বের ৩৮,০৫০টি বিমানের দরকার হবে৷ এই সংখ্যার ৩৮ শতাংশই লাগবে এশিয়ার৷ আর ২১ শতাংশ উত্তর অ্যামেরিকার এবং ১৯ শতাংশ ইউরোপের৷
নতুন নতুন অর্ডার
সিঙ্গাপুর এয়ার শো’তে প্রদর্শিত হচ্ছে এয়ারবাস এ৩৫০ এক্সডাব্লিউবি৷ এয়ারবাস এবং বোয়িং জানিয়েছে চলতি বছর সন্তোষজনক নতুন অর্ডার পেয়েছে তারা৷ ফিলিপাইন্স এয়ারলাইন্সের কাছে এক দশমিক আট বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ছয়টি বিমান বিক্রির অর্ডার পেয়েছে এয়ারবাস৷
এশিয়ার উচ্চাভিলাস
এয়ার শো’তে একটি এয়ারবাস এ৩৮০ বিমান দেখা যাচ্ছে৷ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী বিমান এটি৷ এয়ারবাস প্রধান মনে করেন, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল হচ্ছে এয়ারবাস এ৩৮০-র জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী বাজার৷
কর্মী ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত
এদিকে, ক্যানাডার বোম্বারডিয়ার তাদের সাত হাজার কর্মী ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তবে তারাও এশিয়ায় তাদের বিলাসী বিমানের চাহিদা বাড়ার কথা জানিয়েছে৷
সামরিক প্রতাপ
বোয়িং-এর একটি চিনুক সিএইচ-৪৭ হেলিকপ্টার দেখছেন কয়েকজন দর্শনার্থী৷ এটির মালিক সিঙ্গাপুর এয়ারফোর্স৷ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মালয়েশিয়ার বিমান বাহিনীও প্রদর্শনীয়তে তাদের সামরিক বিমান দেখাচ্ছে৷