1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সামাদ ছিল মৌলবাদীদের বিপক্ষে'

আরাফাতুল ইসলাম৭ এপ্রিল ২০১৬

বাংলাদেশের ব্লগার এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছে৷ তাঁর এক বাল্যবন্ধু দাবি করেছেন, সামাদের মৃত্যু তাদের কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত৷

https://p.dw.com/p/1IRV9
অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমুদ্দিন সামাদ
ছবি: Facebook/Nazimuddin Samad

অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমুদ্দিন সামাদ ফেসবুকে সক্রিয় ছিলেন৷ ধর্মান্ধতা বিরোধী ২৬ বছর বয়সি এই অ্যাক্টিভিস্ট মৃত্যুর পূর্বে করা সর্বশেষ পোস্টে সরকারকে সতর্ক করেছিলেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘সরকার,এবার একটু নড়েচড়ে বসো বাবা৷ দেশের যা অবস্থা,আইন-শৃঙ্খলার যা অবনতি তাতে গদিতে বেশি দিন থাকা সম্ভব হবে না৷ জনরোষ বলে একটা কথা আছে৷ এটার চূড়ান্ত পরিণতি দেখতে না চাইলে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া দরকার সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে৷ নতুবা দিন ফুরিয়ে আসবে খুব দ্রুত৷''

সর্বশেষ এই ফেসবুক পোস্ট প্রকাশের একদিন পর খুন হন নাজিমুদ্দিন সামাদ৷ হত্যাকারীরা তাঁকে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে ঢাকায়, যদিও তিনি মূলত সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন৷ তাঁর বাল্যবন্ধু এবং সহঅ্যাক্টিভিস্ট গোলাম রাব্বি চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে উগ্র ইসলামপন্থিরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন৷

ডয়চে ভেলে: নাজিমুদ্দিন সামাদের অনলাইন এবং রাজপথের কর্মসূচি সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন?

গোলাম রাব্বি চৌধুরী: সামাদ আমার বাল্যবন্ধু ছিল এবং আমরা একই স্কুল এবং কলেজে পড়েছি৷ সে একজন নাস্তিক এবং গণজাগরণ মঞ্চের সিলেট শাখার কর্মী ছিল৷ সে সকল ধরনের ধর্মান্ধতার বিপক্ষে ছিল এবং এই অবস্থান ফেসবুকে পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে৷ ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে তিনি অনেক লিখেছেন৷ সমাজে অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে রাজপথে নিয়মিত ছিলেন তিনি৷

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দুর্বৃত্তরা সামাদকে কোপানোর সময় ‘আল্লাহু আকবর' বলে চিৎকার করেছিল৷ এই তথ্য কি হত্যাকারীদের সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেয়?

এই ঘটনায় আমি খুবই ‘শকড' হয়েছি৷ আর কেন এই হত্যাকাণ্ড তা পরিষ্কারভাবে আমি বলতে পারছি না৷ যা জানি তাহচ্ছে, সে খুব শক্তভাবে ধর্মান্ধতার বিরোধীতা করেছে৷ কয়েকমাস আগ সে ফেসবুকে সে ফেসবুক কিছুদিন নিষ্কৃয় ছিল৷ তখন আমার সাথে দেখা হলে জানায়, পরিবারের পক্ষ থেকে লেখালেখি থেকে বিরত থাকতে চাপ দেয়া হচ্ছে৷ হামলার আশঙ্কায় সে কিছুদিন গ্রামেও কাটিয়েছে৷ তবে শীঘ্রই আবার সক্রিয় হওয়ার কথা জানিয়েছিল সে৷

বাংলাদেশ গতবছর চারজন নাস্তিক ব্লগার এবং একজন সেক্যুলার প্রকাশক খুন হয়েছেন৷ ব্লগারদের রক্ষায় সরকার কতটা সচেষ্ট?

অত্যন্ত হতাশার ব্যাপার হচ্ছে, সরকার ব্লগারদের রক্ষায় যথাযথ উদ্যোগ নিচ্ছে না৷ ফলে বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ড বাড়ছে৷ সরকারের নিষ্কৃয়তা হত্যাকারীদের উৎসাহ যোগাচ্ছে৷ গতবছর সিলেটে ব্লগার অন্তত বিজয় দাস খুন হয়েছিল৷ আর এখন খুন হলো সামাদ৷ আমি আশা করি, সরকার এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধে যথাযথ উদ্যোগ নেবে৷

আপনার কী মনে হয়? ব্লগারদের রক্ষায় বাংলাদেশ সরকার কতটা সচেষ্ট? লিখুন নীচের ধরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান