1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাবেক সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা

১২ জুলাই ২০০৯

সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমদের বারিধারার ডিওএইচএসের বাড়িটি কেন নিরাপত্তা জামানত হিসেবে ক্রোক করা হবে না তা তিন সপ্তাহের মধ্যে জানতে চেয়েছে আদালত৷

https://p.dw.com/p/IlwQ
সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমদ (ফাইল চিত্র)ছবি: DW / Samir Kumar Dey

রোববার সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর করা ১০০কোটি টাকার মানহানি মামলায় সম্পত্তি ক্রোকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন৷ মঈন ইউ আহমেদের বিরুদ্ধে এটাই প্রথম মামলা৷

১/১১র পর সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে কারাবন্দী করা হয়েছিলো, ঢাকা জেলা জজ আদালত হয়েই জেলে গিয়েছিলেন তার স্ত্রী সন্তানরাও৷ সেই আদালতেই রোবার মামলার আরজিতে ইকবাল হাসান মাহমুদ অভিযোগন করেন, ২০০৭সালের ২৭শে মার্চ মঈন ইউ আহমেদ জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বিগত জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে৷ অথচ সেই পাঁচ বছরে বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দই ছিলো সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা যা বর্তমান বিদু্যত প্রতিমন্ত্রীও সংসদে উল্লেখ করেছেন৷ এজন্য মইন ইউ আহমেদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আজ ১০০ কোটি টাকার মান হানির মামলা করেন ইকবাল হাসান মহমুদ – যা সংবাদিকদের জানান তাঁর আইনজীবী ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ৷

মওদুদ আহমেদ জানান, বাদির আশঙ্কা, বর্তমানে বিদেশে অবস্থানরত সাবেক সেনাপ্রধান বিদেশেই অবস্থান করতে পারেন বা বাড়ি বিক্রি করে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন৷ সে কারণে বাড়ি আগাম ক্রোকের আবেদন করা হয়েছে৷

তবে আদালত মঈন ইউ আহমদের বাড়ি বিক্রি বা হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞার আবেদন নাকচ করে দেন৷ তবে কেন মালামাল ক্রোক করা হবেনা তা তিন সপ্তাহের মধ্রে জানাতে বলেছেন আদালত৷ যুগ্ম জেলা জজ এসএম সাইফুল ইসলামের আদালতে শুনানীর পর ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, শুধু নিজের জন্য নয় দেশের সার্বিক কল্যানেই তিনি এই মামলা করেছেন৷

অন্যদিকে মামলার আদেশের পরপরই আদালতের সামনের রাস্তায় মঈনের বিচার চেয়ে মিছিল করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল৷

প্রতিবেদন : হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন