1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্ষমতাবানরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৯ ডিসেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশের দুর্নীতি চিত্রে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি৷ সূচকে অগ্রগতি হলেও, বাস্তবে দুর্নীতি কমেছে কিনা সন্দেহ৷ ওদিকে সরকার দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলছেন৷ দুদক নানা ব্যবস্থা নিলেও ক্ষমতাবানরা আজও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে৷

https://p.dw.com/p/1HK8M
Symbolbild Bangladesch Korruption Banknoten Geld Bestechung
ছবি: DW

[No title]

বুধবার আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি-র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলের কাছে এভাইে বাংলাদেশের দুর্নীতি পরিস্থতি ব্যাখ্যা করেন৷ টিআইবি-র দুর্নীতি সূচকে ২০১৪ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম৷ তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬তম৷ ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘খুব তাড়াতাড়ি আমরা ২০১৫ সালের সূচক প্রকাশ করবো৷ তবে এই নতুন সূচকেও বাংলাদেশে দুর্নীতির চিত্রটা যে খুব একটা পাল্টে যাবে, তা মনে হয় না৷''

বাংলাদেশে দুর্নীতি প্রধানত প্রশাসনিক৷ এর মধ্যে পুলিশ, সাধারণ প্রশাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা – সব খাতেই দুর্নীতি চিহ্নিত করেছে টিআইবি৷ এমনকি বিচার প্রশাসনেও দুর্নীতির কথা বলেছে তারা৷ সরকারি কর্মকর্তাদের সরাসরি উৎকোচ গ্রহণের কথাও রয়েছেট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রতিবেদনে৷ সংস্থাটি জানায়, সাধারণ মানুষকে চাপে ফেলে বা সুবিধা পাইয়ে দিতে এই দুর্নীতি হয়৷ আর এর পিছনে কাজ করে রাজনীতি বা রাজনৈতক ক্ষমতা৷

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘দুর্নীতির প্রক্রিয়া বা কৌশলগুলি এখনো অব্যাহত৷ শুধুমাত্র কোনো খাতে দুর্নীতি কিছুটা বেড়েছে, আবার কোনো খাতে একটু কমেছে৷ কিন্তু সার্বিক চিত্রে উল্লেখ করার মতো কোনো পরিবর্তন আসেনি৷ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্তরিক অবস্থানের কথা বলছে, তবে তার কোনো ফলাফল দেখা যাচ্ছে না৷''

Logo Transparency International
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের লোগো

বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘দুদক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কিছু কাজ করছে৷ কিন্তু নানা চাপ আর পদ্ধতির কারণে ক্ষমতাধররা ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছেন৷ এই যেমন, দুর্নীতি দমন কমিশনে এখনো বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তারা রয়ে গেছেন৷ তাঁদের দক্ষতা এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন আছে৷ তবে শুধু দুদক নয়, আরো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যাদের দুর্নীতি দমনে কাজ করার কথা৷ তারাও ঠিকমত কাজ করছে বলে মনে হয় না৷''

দুর্নীতি দমনের সঙ্গে গণতন্ত্রের সম্পর্কের কথা প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান জানান, ‘‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ছাড়া দুর্নীতি দমন কঠিন৷ সরকারে স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতা না থাকলে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যায় না৷ তাছাড়া ক্ষমতা থাকলে অর্থ সম্পদ হবে – এই ধারণা এখনো বদলায়নি৷ তাই ক্ষমতার সঙ্গে দুর্নীতির সম্পর্ক এখনো বিদ্যমান৷''

তবে টিআইবি-র নির্বাহী পরিচালকের কথায়, ‘‘অতীতের চেয়ে পরিস্থিতি আজ ইতিবাচক৷ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ সরব হচ্ছে৷ ধীরে হলেও সূচকে ইতিবাচক অগ্রগতি আসছে৷ এই অগ্রগতি তখনই ইতিবাচক হবে, যখন প্রকৃত অর্থেই দুর্নীতি দমনে কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়া গড়ে উঠবে৷'’

বাংলাদেশ দুর্নীতি দমনে অসফল কেন? জানান নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য