1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সপ্তাশ্চার্য নির্বাচনের চুড়ান্ত তালিকায় সুন্দরবন

২২ জুলাই ২০০৯

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন চলে এসেছে পৃথিবীর নতুন সপ্তাশ্চার্য নির্বাচনের চুড়ান্ত তালিকায়৷ জুরিখ থেকে নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স অফ নেচার ক্যাম্পেইনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/IvHd

বিশ্বের ৭৭টি স্থানের মধ্যে প্রথমে ভোটের মাধ্যমে ঠিক করা হয় ৪৩টির নাম৷ এরপর বিশেষজ্ঞদের বিশেষ বিচারের পর আটাশটিকে চুড়ান্ত তালিকায় নিয়ে এসেছে এই প্রতিষ্ঠান৷ এবার পরবর্তী ভোটাভোটির পালা৷ আশা করা হচ্ছে বিশ্বের অন্তত ১ বিলিয়ন মানুষ চুড়ান্ত ভোটে অংশ নেবে৷ এ জন্য সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রধান ড. ফেড্রিকো মাইয়োর৷

নতুন এই তালিকায় আমাজান জঙ্গল, জাপানের কিনকাগুজি স্বর্ণ মন্দির, ব্রাজিলের আঙ্গেল ফলস, ডেড সি, ভিয়েতনামের হ্যালোং বে, ব্রাজিলের ইগুয়াজু ফলস, কমোডো দ্বীপ, দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ, বাংলাদেশ এবং ভারতের সুন্দরবনসহ মোট ২৮টির স্থান রয়েছে৷

সুন্দরবন বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যান বা সুন্দরবন সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি হিসেবে অখন্ড বন যা বিশ্বে সর্ববৃহৎ৷ অববাহিকার সমুদ্রমূখী সীমানা এই বনভূমি গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মোহনায় অবস্থিত এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিস্তৃত ৷ ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকতা জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের প্রায় ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে৷ সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়৷ এর বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিরূপের অংশ হলেও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের সূচিতে ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ হয়েছে যথাক্রমে সুন্দরবন ও সুন্দরবন জাতীয় পার্ক নামে৷ সুন্দরবনকে জালের মত জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ছোট ছোট দ্বীপ ৷ বনভূমিটি, স্বনামে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরণের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপ সহ অসংখ্য প্রজাতি প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত৷ জরিপ মোতাবেক ৫০০ বাঘ ও ৩০,০০০ চিত্রা হরিণ রয়েছে এখন সুন্দরবন এলাকায়৷ ১৯৯২ সালের ২১শে মে সুন্দরবন রামসার স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়৷

সুন্দরবন চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পাওয়ায় খুশি বাংলাদেশের প্রচারকারীরা৷কারণ,এর আগের ভোট পর্বে ব্যাপকহারে ভোট পড়েছিল বাংলাদেশ থেকে৷ মানুষকে ইন্টারনেট এবং ফোনো লাইনের মাধ্যমে ভোট দেবার বিষয়ে নেয়া হয়েছিল নানা উদ্যোগ৷

প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য