ন্যূনতম বেতন
২৮ জুন ২০১২অন্য দাবিগুলো হলো - শ্রমিকদের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান, কারখানাভিত্তিক পূর্ণ রেশনিং-ব্যবস্থা চালু করা, সব পোশাক কারখানায় শ্রমিক সংগঠনের অধিকার বাস্তবায়ন এবং শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার৷
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিজিএমইএ'র পক্ষে মহাসচিব আহসান-উল-ফাত্তাহ এবং বিকেএমইএর পক্ষে সভাপতি সেলিম ওসমান দাবি সংক্রান্ত স্মারকলিপি গ্রহণ করেন৷
তবে বিজিএমইএ'র সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলছেন, তাঁরা দাবির ব্যাপারটা গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন৷ তিনি বলেন, শ্রমিকরা ন্যূনতম বেতনের যে দাবি জানিয়েছে সেটা নির্ধারণের দায়িত্ব সরকারের৷
মহিউদ্দিন বলেন, ‘‘যারা দাবি জানিয়েছে তাদের সঙ্গে গত দুই মাসে বেশ কয়েকবার আলোচনা হলেও সেসময় কোনো দাবি-দাওয়ার কথা শোনা যায়নি৷ কিন্তু আশুলিয়ার নৈরাজ্যজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক ভুঁইফোঁড় সংগঠন এখন দাবি-দাওয়ার কথা বলছে৷''
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বর্তমান যে ন্যূনতন বেতন তিন হাজার টাকা আছে সেটা যারা কাজ শিখছে তাদের জন্য৷ অভিজ্ঞ শ্রমিকরা গড়ে ছয় হাজার টাকা করে পান বলে জানান তিনি৷ মহিউদ্দিন বলেন, কম্বোডিয়ার মতো বাংলাদেশে শ্রমিকদের জন্য সর্বোচ্চ বেতনের কোনো সীমা নেই৷ বাজারের উপর নির্ভর করে শ্রমিকদের বেতন ঠিক করা হয়৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে প্রায় ২০ শতাংশ দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে৷ তাই কোনো শ্রমিকের যদি একটি জায়গায় কাজ করতে ভাল না লাগে তাহলে সে অন্য কোথাও চলে যেতে পারে৷
বিজিএমইএ সভাপতি স্বীকার করেন, বাড়ি ভাড়া ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সমস্যায় পড়তে হয়৷ তিনি বলেন, একটা পরিবারের যদি দুজন আয়ের উৎস হন তারপরেও সেই পরিবার চালাতে কী সমস্যা হয় সেটা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে৷
মহিউদ্দিন বলেন, তৈরি পোশাক খাত নিয়ে দেশে ও বিদেশে অনেক চক্র কাজ করছে৷ আশুলিয়ার মত ঘটনা যেগুলো ঘটছে সেগুলোর পেছনে এসব চক্র রয়েছে বলে গোয়েন্দা বিভাগের কাছ থেকে প্রমাণও পাওয়া গেছে৷
সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: মারিনা জোয়ারদার