1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফরাসি যুদ্ধবিমান

১ ফেব্রুয়ারি ২০১২

ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য শেষপর্যন্ত ফ্রান্সের কাছ থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১২৬টি সর্বাধুনিক যুদ্ধ বিমান রাফাল কেনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়৷ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ইউরোফাইটার টাইফুন৷

https://p.dw.com/p/13uHF
epa03086841 (FILE) A file picture dated 16 June 2009 of a French Dassault Rafale fighter jet during the Paris Air Show over Le Bourget airport, near Paris, France. France's Dassault Aviation won a multi-billion-dollar contract with the Indian Air Force for 126 Rafale fighter jets, the French government confirmed 31 January 2012. India had shortlisted Dassault's Rafale jets and European consortium Eurofighter's Typhoon for the deal in April 2011. Indian broadcaster Times Now cited Defence Ministry sources as saying Dassault's had emerged as the cheapest bid and was set to clinch the contract, but that it could take up to six months to clear all the requirements. EPA/LUCAS DOLEGA *** Local Caption *** 00000402639537 +++(c) dpa - Bildfunk+++
ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/dpa

পাঁচ বছরের লম্বা দৌড়ের পর নিকটতম প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ইউরোফাইটার টাইফুনকে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত বাজি জিতে নিল ফ্রান্সের দাসো বিমান নির্মাণ সংস্থার মাঝারি পাল্লার মাল্টি-রোল জঙ্গি বিমান রাফাল৷ ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য ১২৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়৷ এর চুক্তি মূল্য হবে ১১০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থাৎ ৫৫ হাজার কোটি টাকা৷ সামরিক সওদায় এত বড় অঙ্কের চুক্তি এর আগে আর হয়নি৷

চুক্তি সই হবে মার্চের পর নতুন অর্থবর্ষে৷ চুক্তি অনুসারে প্রথম দফায় আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে দিতে হবে ১৮টি যুদ্ধ বিমান৷ বাদবাকিগুলি তৈরি হবে প্রযুক্তি হস্তান্তর শর্ত অনুযায়ী ভারতের ব্যাঙ্গালোরের হিন্দুস্থান এয়্যারোনটিক্স কারখানায়৷

৭০-এর দশকে কেনা মিগ-২১-এর জায়গা নেবে এই যুদ্ধবিমান৷ প্রাথমিক দৌড়ে ছিল ৫টি কোম্পানি৷ দুটি মার্কিন,একটি রাশিয়ান একটি সুইডেনের এবং একটি জার্মানি, স্পেন, ব্রিটেন ও ইটালির যৌথ সংস্থা ইউরোপিয়ান কনসর্টিয়ামের৷ টেন্ডার ডাকা হয় ২০০৭ সালে৷ যোগ্যতার বিভিন্ন মাপকাঠিতে বাছাই হয়৷ যেমন প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ, দাম,প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং যন্ত্রাংশ সরবরাহ ইত্যাদি৷ ইউরোফাইটার হেরে যায় মূলত দামের মাপকাঠিতে৷ চারটি দেশের যৌথ সংস্থা বলে যন্ত্রাংশ পেতে হয়ত অসুবিধা হতে পারে যেটা ভারতের হয়েছিল মিগ বিমানের যন্ত্রাংশ পেতে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়া পর৷

পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এই চুক্তির ফলে দাসো কোম্পানির আর্থিক সঙ্কট কাটবে এবং সামগ্রিকভাবে ফ্রান্সের অর্থনীতি পাবে নতুন অক্সিজেন৷ ভারতের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক হবে মজবুত ৷ প্রশ্ন উঠেছে,এটা কি শুধুই বাণিজ্যিক কারণ? রাজনৈতিক কারণ হলো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদের জন্য ফ্রান্সকে পাশে পাবে ভারত৷ ২০১০ সালে ভারতে এসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি ভারতকে প্রতিশ্রুতিও দিয়ে গেছেন৷ পর্যবেক্ষকরা অবশ্য এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য