1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশু সৈনিকদের হাতে অস্ত্র?

বেটিনা মার্কস/এসি১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

তা-ও কি ঘটতে পারে? জার্মানি বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশগুলির মধ্যে পড়ে৷ প্রধানত হাল্কা অস্ত্রশস্ত্র, যা বহু সংকটপীড়িত এলাকায় গিয়ে পড়ে, এমনকি শিশু সৈনিকদের হাতেও৷

https://p.dw.com/p/1B8ZS
Red Hand Day Aktion Kindersoldaten Archiv 2013
ছবি: imago

সিরেয়া লিওনের রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধে জার্মান হেকলার অ্যান্ড কখ কোম্পানির জি-থ্রি অটোমেটিক রাইফেলটিও ব্যবহৃত হয়েছে৷ সারা বিশ্বে কালাশনিকভের পরেই এই অ্যাসল্ট রাইফেলটি নাকি সবচেয়ে জনপ্রিয়৷ ইতিমধ্যে তার পরের মডেল – তিন কিলো ছ'শো গ্রাম ওজনের জি-থার্টিসিক্স রাইফেলটিও বাজারে বেরিয়ে গেছে৷ জার্মান সেনাবাহিনীর স্ট্যান্ডার্ড রাইফেল এটি, কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন সংকটপীড়িত এলাকাতেও ব্যবহৃত হতে দেখা যায়৷ ওজন কম বলে অস্ত্রটি নাকি আবার শিশু সৈনিকদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী!

দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যান্ড্রু ফাইনস্টাইন বিশ্বব্যাপী অস্ত্রবাণিজ্য – ‘‘মৃত্যু নিয়ে ব্যবসা'' – সংক্রান্ত একটি ৮০০ পাতার বই লিখেছেন৷ তাঁকে বার্লিনে বলতে শোনা যায়: ‘‘হেকলার অ্যান্ড কখের কর্মীসংখ্যা মাত্র ৭০০৷ (কিন্তু) এটি সম্ভবত ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক শিল্পসংস্থা৷'' সংস্থাটির তৈরি অস্ত্র দ্বারা প্রতিদিন সারা বিশ্বে ১০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে, বলে ‘ত্যার দেজ অম' শিশু ত্রাণ সংগঠনের অনুমান৷

জার্মানি ইতিমধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারকের পদে উন্নীত হয়েছে৷ মুখ্য গ্রাহকদের মধ্যে পড়ে সৌদি আরব৷ ভারী অস্ত্রশস্ত্রের সঙ্গে সঙ্গে হেকলার অ্যান্ড কখের জি-থার্টিসিক্স রাইফেলগুলিও সৌদি আরবে রপ্তানি হয়, এমনকি সেখানে তৈরিও হয়৷

১২ ফেব্রুয়ারি ছিল শিশু সৈনিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে রেড হ্যান্ড ডে, যা সারা জার্মানিতে স্কুল ও অপরাপর যুব-প্রতিষ্ঠানে পালিত হয়েছে৷ সারা বিশ্বে নাকি প্রায় আড়াই লাখ শিশু সৈনিক সক্রিয়ভাবে সংঘাতে সংশ্লিষ্ট৷ তাদের মধ্যে মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ প্রাক্তন শিশু সৈনিক একাই জার্মানিতে এসে এখানে আশ্রয় পেয়েছে৷ অপরদিকে বিশ্বের বহু সংকটপীড়িত স্থানে শিশু সৈনিকরা জার্মান অস্ত্র হাতে মানুষের জীবননাশের খেলায় লিপ্ত, এমন সম্ভাবনা নাকচ করা যায় না বলে বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য