সহিংস হরতাল
১৯ ডিসেম্বর ২০১২জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা তাসনিম আলম সিদ্দিকীকে আটকের প্রতিবাদে জামায়াত শিবির বুধবার রাজশাহীতে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল পালন করে৷ হরতালের সময় রাজশাহীর বিনোদপুর এবং কাজলা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়৷ হরতাল সমর্থকরা পুলিশের একটি গাড়িতে বোমা এবং ককটেল ছুড়লে পুলিশও পাল্টা টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে৷ এই এলাকায় সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়৷ আটক করা হয়েছে ২০ জনকে৷
এছাড়া, বগুড়া এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে৷ হরতাল চলাকালে পুলিশ বগুড়া সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর রফিকুল আলমকে আটক করলে জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মীরা মারমুখী হয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয়৷ তারা একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়৷
জামায়াতের কেন্দ্রীয় আরেক নেতা শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিলেট বিভাগে আধা বেলা হরতাল পালন করে জামায়াত৷ সিলেটে হরতাল চলাকালে গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷
এদিকে, দুপুরে ঢাকার মহাখালী এলাকায় হঠাৎ করেই আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির৷ এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়৷
ওদিকে, কাল ঢাকা ছাড়া সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডকেছে ১২টি সমমনা ইসলামি দল৷ ঢাকায় এই হরতাল হবে আধাবেলা৷ জাময়াত শিবরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাম দলগুলোর গতকালের হরতালের প্রতিবাদে এই হরতাল ডাকা হয়েছে৷ জামায়াত এই হরতালে সমর্থন দিয়েছে৷ আর আইনমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, তাদের উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা৷ কিন্তু তাদের এই উদ্দেশ্য সফল হবেনা৷