মুসলিম নারী চালকদের ট্যাক্সি সেবা
ইন্দোনেশিয়ায় মুসলিম নারীদের আকৃষ্ট করতে মুসলিম নারী ড্রাইভারদের দিয়ে মোটরবাইক ট্যাক্সি বা ‘ওজেক’ সেবা চালু হয়েছে৷ বিষয়টি বেশ জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে৷
হেডস্কার্ফ পরা চালক
মুসলিম প্রধান ইন্দোনেশিয়ায় একটি মোটরবাইক ট্যাক্সি সেবা চালু হয়েছে৷ শরিয়া নিয়ম অনুযায়ী, এর চালকদের মাথায় হেডস্কার্ফ পরা এবং শরীরে ঢিলেঢালা পোশাক পরা নারী হতে হবে৷ মুসলিম নারী যাত্রীদের আকর্ষণ করতেই এই ধরণের সেবা চালু হয়েছে৷ ‘ওজেক শারি’ নামের একটি কোম্পানি (ছবিতে তাদের ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট দেখতে পাচ্ছেন) এই সেবা চালু করেছে৷
যাত্রী শুধু নারী ও শিশু
দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরাবায়াতে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে প্রথম এই ধরনের ট্যাক্সি সেবা চালু করে ‘ওজেক শারি’৷ পরবর্তীতে সেটা অন্যান্য শহরে ছড়িয়ে পড়ছে৷ যাত্রী হিসেবে শুধু নারী ও শিশুদেরই বহন করা হয়৷ সেবাটি সংক্ষেপে ‘ওজেসি’ নামে পরিচিত৷ ছবিটি সুরাবায়া শহরের৷
উদ্দেশ্য
‘ওজেক শারি’-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা এভিলিটা আদ্রিয়ানি বলেন, ‘‘নারীদের গণপরিবহণের বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ৷ বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে, যেখানে অপরাধ ও যৌন হয়রানির হার অনেক বেশি৷’’
প্রযুক্তির সহায়তা
বর্তমানে ফোনে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ করে এই সেবা ব্যবহার করা যাচ্ছে৷ তবে একটি অ্যাপ তৈরির চেষ্টাও চলছে৷
কর্মসংস্থানও হচ্ছে
পার্ট-টাইম চালক হিসাবে কাজ করতে ওজেক শারি মুসলিম গৃহিণী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে৷ এনডাং কার্টিনি নামের এক গৃহিণী এভাবে কাজ করছেন৷ এই অর্থ তিনি নিজের জন্য কসমেটিকস কিনতে আর বাচ্চাদের পকেট মানি দিতে ব্যবহার করেন৷ বর্তমানে এই কোম্পানির চালকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিনশ’৷
জনপ্রিয়তা পাচ্ছে
নারীদের জন্য আলাদা মোটরবাইক ট্যাক্সির জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য কোম্পানিও এই ধরণের সেবা চালু করেছে৷ যেমন ‘লেডিজেক’৷ তাদের ড্রাইভাররা পিংক রঙের জ্যাকেট ও হেলমেট পরেন (ছবিটি দেখুন)৷ আরও আছে ‘সিস্টার-ওজেক’৷
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
বিপদের আভাস পেলে ‘লেডিজেক’ ড্রাইভাররা অ্যালার্ম বাজাতে পারেন৷ আর বিপদ এড়াতে শুধু দিনের বেলায় ট্যাক্সি চালান ‘ওজেসি’ ও ‘সিস্টার-ওজেক’-এর ড্রাইভাররা৷
যাত্রীরাও খুশি
সুরাবায়া শহরের গৃহিণী নুরলায়লা তাঁর সন্তানকে স্কুলে আনা-নেয়ার কাজে এই সেবা ব্যবহার করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘একজন মুসলিম নারী চালকের সঙ্গে মোটরবাইকে চড়ে আমি বেশি স্বস্তি বোধ করি৷’’
অন্যান্য দেশেও আছে
যেমন লাইবেরিয়া৷ সেখানে পুরুষ ট্যাক্সি চালকদের দ্বারা হয়রানি ও ডাকাতির ঘটনা এড়াতে কয়েকজন নারী ‘দ্য পিংক প্যান্থার’ নামে একটি ট্যাক্সি সেবা চালু করেছে৷ তাঁরা পিংক রঙের জ্যাকেট ও হেলমেট পরে ট্যাক্সি চালান৷