1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুক্তিযোদ্ধা সনদ কেলেঙ্কারি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪

অবশেষে সরকারের চার সচিব এবং এক যুগ্মসচিবের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বাংলাদেশে৷ তবে অনিয়ম করে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেয়া এই পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আর কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷

https://p.dw.com/p/1DCEu
Pakistan Bangladesh Bürgerkrieg
ছবি: AP

মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধার কারণে গত পাঁচ বছরে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার মোট ১১ হাজার ১৫০ জন৷ সবার সনদই পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক৷

রবিবার মুক্তিযুদ্ধ ও জনপ্রশাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের বেঠকে যে পাঁচজন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয় তাঁরা হলেন: স্বাস্থ্যসচিব নিয়াজউদ্দিন মিঞা, সদ্য ওএসডি হওয়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সচিব এ কে এম আমির হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান (বর্তমানে প্রদিমন্ত্রীর মর্যাদায় বেসরকারীকরণ কমিশনের চেয়ারম্যান) এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (ওএসডি) আবুল কাসেম তালুকদার৷

Pakistan Bangladesh Bürgerkrieg
এক হাজার ৩৩৮ জনের মধ্যে ১৫২ জনের সনদ ভুয়া প্রমাণিত হয়েছেছবি: AP

বৈঠকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ছাড়া যাঁরা সনদ নিয়েছেন, তাঁদের সবার সনদ বাতিল করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ এর আগে গত মাসে আরো ৩৫ জনের সনদ বাতিল হয়৷ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল বৈঠক শেষে জানান, ‘‘দুদক-এর তদন্তের সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ তদন্তে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেয়ার ব্যাপারে তাঁরা অনিয়ম করেছেন বলে প্রমাণ মিলেছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘এই সচিবদের অনেকেরই এ বছর চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা৷ তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অতিরিক্ত আরো এক বছর চাকরির সুবিধা পাবেন না৷'' জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি৷ তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা বা চাকরি থেকে বিদায় করা হবে কিনা – তা এখনো স্পষ্ট নয়৷

গত পাঁচ বছরে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার ১১ হাজার ১৫০ জন৷ সচিব থেকে শুরু করে চিকিত্‍সক, শিক্ষক, প্রকৌশলী, ব্যাংকারও রয়েছেন তাঁদের মধ্যে৷ সম্প্রতি সনদ জাল করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে আটক হয়েছেন পুলিশের ২৩ জন কনস্টেবল৷ এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রাথমিক শিক্ষক পদে আবেদনকারী এক হাজার ৩৩৮ জনের মধ্যে ১৫২ জনের সনদ ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে৷

Freiheitskämpferin Rasheda Amin aus Bangladesch
এর আগে গত মাসে আরো ৩৫ জনের সনদ বাতিল হয়ছবি: The Bangladesh Observer

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী আরো ১৮২ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বাতিল করা হয়েছে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক৷ এ সব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী৷

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, চাকরিতে যোগদানের সময়ই নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দিতে হয়৷ কিন্তু এই শীর্ষ কর্মকর্তারা চাকরির শেষ সময়ে এসে নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করে সনদ নিয়েছেন৷ চাকরির মেয়াদ বাড়ানো বা অন্যান্য সুযোগ নিতে যেসব পদস্থ কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে তদন্ত করতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তিনটি কমিটি এখন কাজ করছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য