1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের অন্যতম বৃহৎ কন্টেনার বন্দরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১১

কেরালার কোচিতে আন্তর্জাতিক কন্টেনার ট্রান্স-শিপমেন্ট টার্মিনাল বন্দরটি আজ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী ড: মনমোহন সিং৷

https://p.dw.com/p/10Fuj
প্রধানমন্ত্রী ড: মনমোহন সিংছবি: Fotoagentur UNI

প্রথম পর্যায়ে ৩,২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভারত ও দুবাই পোর্ট ওয়ার্ল্ডের যৌথ সহযোগিতায় এটি নির্মিত হয়৷

কেরালার কোচিতে নির্মিত এই আন্তর্জাতিক কন্টেনার ট্রান্সশিপমেন্ট টার্মিনাল সংক্ষেপে আইসিটিটি হবে দেশের বৃহত্তম সিঙ্গল-অপারেটর কন্টেনার বন্দর৷ জাহাজে কন্টেনার বোঝাই ও খালাসের ক্ষেত্রে এই নতুন বন্দর হবে এক প্রাণকেন্দ্র৷ এর ফলে সমুদ্রপথে ভারতের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরের ওপর নির্ভরশীলতা অনেক কমবে৷ সময় কম লাগবে খরচ কম পড়বে৷ প্রথম পর্যায়ে ১০ লক্ষ কন্টেনার হ্যান্ডল করতে পারবে এই টার্মিনাল৷ পরে তা বেড়ে হবে ৪০ লক্ষ কন্টেনার৷ সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতায় দুবাই পোর্ট ওয়ার্ল্ড (ডিপিডবল্যু) এটি নির্মাণ করে এবং ৩০ বছর তা চালাবে৷ এজন্য ডিপিবল্যু দিয়েছে ১,৬০০কোটি টাকা আর ভারত সরকার দিয়েছে ১,৬৫০ কোটি টাকা৷

এই টার্মিনাল বন্দরটি জাতির উদ্দেশ্যে আজ উৎসর্গ করে প্রধানমন্ত্রী ড: মনমোহন সিং এই প্রকল্পকে ভারতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিনিয়োগের প্রতীক বলে অভিহিত করে বলেন, কোচির সার্বিক উন্নয়নে এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করতে এই প্রকল্প হবে এক মাইলফলক৷ পরিকাঠামো সুবিধার কেন্দ্রস্থল হিসেবে কোচি বন্দর এলাকায় গড়ে উঠবে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল৷ গড়ে উঠবে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি ও রিগ্যাসিফিকেশন প্রক্রিয়া৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ জলপথের মত জ্বালানি-সাশ্রয়ী, পরিবেশ অনুকুল এ নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা খুবই দরকার৷ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বন্দরের অভাব এবং ট্রান্সশিপমেন্টের যথেষ্ট সুবিধা না থাকায় ভারতের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের ৬০ শতাংশ হয়ে থাকে বিদেশি বন্দর দিয়ে৷

দেশের ১২টি কন্টেনার টার্মিনাল বন্দরের মধ্যে কলকাতা ও তার সহায়ক বন্দর হলদিয়া হলো প্রথম আধুনিক কন্টেনার হ্যান্ডলিং বন্দর৷

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুবাই বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি চেয়ারম্যান শেখ আহমেদ বিন মাখতুম ও কেরালার মুখ্যমন্ত্রী ভি.এস অচ্যুদান্দন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনি প্রমুখ৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী