ভবিষ্যতের বিমান তৈরিতে প্রকৃতি থেকে শিক্ষা
আগামীর বিমান তৈরিতে প্রকৌশলীরা প্রকৃতির বিভিন্ন বিষয় থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন৷ এর ফলে ভবিষ্যতের বিমান ওজনে হালকা হবে, যা অল্প জ্বালানি ব্যবহার করবে৷
পাতার উপর মানুষ!
আসলেই এরকম এক ভিক্টোরিয়া জলপদ্মের উপর এক শিশুকে শুইয়ে দেয়া যায়৷ আকারটা একটু বড় হলে হয়ত সেখানে প্রাপ্তবয়স্ক একজনকেও বসিয়ে দেয়া যেত৷ কিন্তু কীভাবে সম্ভব হয় এটা?
সেটাই দেখছেন তিনি
ছবিতে এক গবেষককে জলপদ্মের গঠন নিয়ে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে৷ তিনি একটি বিমান তৈরি কোম্পানিতে কাজ করেন৷ বিমানের স্পয়লার (সাধারণত ডানায় থাকে যা বিমানকে স্থির রাখে) তৈরির নতুন উপায় খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে জলপদ্মের এই গঠন৷
উপায়টি কী?
সেটা বুঝতে বাম পাশের ছবিটি দেখুন৷ এটি জলপদ্মের নীচের অংশ৷ দেখুন মাঝখানের অংশটুকু অন্য অংশের তুলনায় একটু মোটা৷ জলপদ্মের গঠনের এই কৌশল ব্যবহার করেই স্পয়লার তৈরি করেছেন পেটার সান্ডার (ছবিতে যাঁকে দেখছেন)৷ বামহাতে সেই স্পয়লার ধরে আছেন তিনি৷
পরিচিত মনে হচ্ছে?
এমন ডিজাইন আমরা হরহামেশাই দেখি৷ বিমান, গাড়ি সহ হালকা কাঠামো তৈরিতে এ ধরণের নকশা ব্যবহার করা হয়৷ বিজ্ঞানীরা এই কৌশলের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন ডায়াটম নামের এক ধরণের শেওলা থেকে৷
এই সেই ডায়াটম
অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখলে ডায়াটম দেখতে যেমন মনে হবে এই ছবিটি সেরকম৷
ভবিষ্যতের বিমান
বায়োনিক উপায় ব্যবহার করে এরকম বিমান তৈরির পরিকল্পনা করছে এয়ারবাস৷ অবশ্য খুব শিগগিরই বাণিজ্যিক উপায়ে এমন বিমান তৈরি সম্ভব হবে না৷ এ জন্য কয়েক দশক সময় লেগে যেতে পারে৷