1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্টেশনে বোমা

নাওমি কনরাড/এআই১৮ ডিসেম্বর ২০১২

বন ট্রেন স্টেশনে বোমা হামলা চেষ্টার পর, ক্যামেরা পাহারার বিষয়টি নিয়ে আবারো আলোচনা শুরু হয়েছে জার্মানিতে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে নজরদারির জন্য আরো ক্যামেরা বসানোর পক্ষে৷ তবে এতে সবার মত নেই৷

https://p.dw.com/p/174Zw
ছবি: picture-alliance/dpa

বনের মূল ট্রেন স্টেশনে ‘সার্ভিলেন্স' ক্যামেরা আছে৷ কিন্তু গত ১০ই ডিসেম্বরের কোনো ভিডিও সেই ক্যামেরায় ধারণ করা হয়নি৷ বিশেষ করে নীল ব্যাগটি স্টেশনে কিভাবে এলো, কে রেখে গেল – কোনো কিছুই জানাতে পারেনি ক্যামেরা৷ অথচ সেই ব্যাগে ছিল হাতে তৈরি বোমা, যা বিস্ফোরিত হলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটাতেই পারতো৷ এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে এসব ক্যামেরার গুরুত্ব কী? জার্মানির সবুজ দলের চেয়ারম্যান চেম ওজডেমির-এরও একই প্রশ্ন, তিনি বললেন, ‘‘গোটা বন শহরকেই ক্যামেরা দিয়ে ঘিরে রাখা সম্ভব, কিন্তু প্রয়োজনের সময় কাজে না লাগলে এসব ক্যামেরা অর্থহীন৷''

বন ট্রেন স্টেশনের ক্যামেরাগুলোর দেখভালের দায়িত্ব জার্মানির জাতীয় রেল সংস্থার৷ কিন্তু গত সপ্তাহে স্টেশনে বোমা হামলা চেষ্টার কোনো ভিডিও এসব ক্যামেরায় পাওয়া যায়নি৷ ফলে পুলিশ এখন কাজ করছে শুধুমাত্র কিছু ধারণার ওপর ভিত্তি করে৷ পুলিশের ধারণা, চরমপন্থী সালাফিস্টদের মধ্য থেকে কেউ এই হামলার চেষ্টা করে থাকতে পারে৷ এ ঘটনার তদন্ত হচ্ছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ আর স্টেশন সংশ্লিষ্ট একটি ফাস্ট ফুড রেঁস্তোরায় পাওয়া ভিডিও-র ওপর নির্ভর করে৷

বন ট্রেন স্টেশনের এ ঘটনার পর টনক নড়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের৷ মন্ত্রী হেনস পেটার ফ্রিডরিশ জনগুরুত্বপূর্ণ এবং জনসাধারণের চলাচল বেশি এমন জায়গাগুলোতে ক্যামেরার নজরদারি আরো বাড়ানোর পক্ষে৷ পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে যে, তাদের কাছে খুব কম ক্যামেরা রয়েছে এবং সেগুলো ব্যবহার করা হয় শুধু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে৷ মিউনিখ পুলিশের মুখপাত্র রাইনহোল্ড বার্গমান মনে করেন, বড় পাবলিক প্লেসগুলোতে সারাক্ষণ ভিডিও করা যুক্তিযুক্ত কোনো কাজ হবে না৷ বরং বেসরকারি পর্যায়ে যাঁরা ক্যামেরা ব্যবহার করেন, তাঁদের কাছ থেকে প্রয়োজনে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের পক্ষে তিনি৷

চেম ওজডেমির-এর মতে, সালাফিস্টদের সংখ্যা খুবই সীমিত৷ তিনি বলেন, ‘‘অধিকাংশ মুসলিম সালাফিপন্থীদের ঘৃণা করেন এবং তাঁরা মনে করেন যে এদের কর্মকাণ্ড তাঁদের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷'' তাই ওজডেমির মনে করেন, বাড়তি ক্যামেরা না বসিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত উদারপন্থী মুসলমানদের সঙ্গে কাজ করা৷ সেক্ষেত্রে কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আঁচ করতে পারলে আগেভাগেই তাঁরা সেটা নিরাপত্তা বাহিনীকে জানাতে পারবেন এবং তখন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করাও সম্ভব হবে৷ এছাড়া রাস্তায় পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানোর পক্ষেও মত দেন জার্মানির সবুজ দলের চেয়ারম্যান চেম ওজডেমির৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য