বৈরুতেও বোমা হামলার ক্ষত
প্যারিসে হামলার আগের দিন মানুষ হত্যার আরেকটি মিশনে নেমেছিল আইএস৷ বৈরুতের সেই বর্বরতার নির্মম শিকারও অনেক৷ হামলাকারীরা লক্ষ্যস্থলে আঘাত হানতে পারলে ক্ষয়ক্ষতি অবশ্য আরো ভয়াবহ হতো৷ দেখুন ছবিঘরে...৷
আত্মঘাতী বোমা
শুক্রবার থেকে সবার নজর প্যারিসের দিকে৷ কিন্তু আগের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই আরেক হামলায় বৈরুতের বুরুজ আল-বারাজনেহ ও তার পাশের একটি অ্যাপার্টমেন্ট মিলিয়ে মোট ৪৪ জন মারা যায়৷ দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী সফল হলেও আরেকজনের শরীরের সঙ্গে বাঁধা বিস্ফোরক বিস্ফোরিত হয়নি৷ তৃতীয়জন সফল হলে ক্ষয়ক্ষতি নিঃসন্দেহে অনেক বেশি হতো৷
কেন এই হামলা?
হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস৷ বুরুজ আল-বারাজনেহ অঞ্চলটি হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত৷ হিজবুল্লাহ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন দিচ্ছে৷ সে কারণেই হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ওই এলাকায় হামলা চালায় আইএস৷ ছবিতে বোমা হামলায় আহত এক নারীকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য৷
গ্রেপ্তার
হামলায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন সিরীয় এবং দু’জন লেবাননের নাগরিক বলে জানা গেছে৷ ছবিতে সন্দেহভাজন একজনের আটক হওয়ার মুহূর্ত৷
আরো ভয়ংকর পরিকল্পনা ছিল
লেবাননের স্বরাষ্টমন্ত্রী নূহাদ মাশনুক ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করায় পুলিশের প্রশংসা করেছেন৷ তিনি জানান, হামলাকারীদের একটি হাসপাতালে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তা থাকায় বুরুজ আল-বারাজনেহ ও তার পাশের একটি অ্যাপার্টমেন্টকে বেছে নেয়া হয়৷ ছবিতে ফরেনসিক বিভাগের কর্মীদের হামলাস্থল পর্যবেক্ষণের দৃশ্য৷
আরো হামলা?
বৈরুতে আবারও হামলা চালাতে পারে আইএস৷ নূহাদ মাশনুক এমন আশঙ্কাই করছেন৷ সংবাদমাধ্যমকে লেবাননের স্বরাষ্টমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘ওরা কিন্তু এক জায়গায় পাঁচজন আত্মঘাতী হামলাকারী পাঠিয়েছে, সুতরাং বুঝতে হবে এটাই শেষ নয়...৷’’