1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেলজিয়ামে পুলিশি অভিযান

মাক্স হোফমান/এসবি২৪ নভেম্বর ২০১৫

বেলজিয়ামের কর্তৃপক্ষ কয়েক দিনের জন্য ব্রাসেলস শহর অচল করে দিয়েছিল৷ কিন্তু তাতে এখনো পর্যন্ত কোনো ফল পাওয়া নি৷ মাক্স হোফমান মনে করেন, সে দেশের কর্তৃপক্ষের যোগ্যতার অভাব সীমাহীন৷

https://p.dw.com/p/1HBAd
অভিযান চলাকালীন ব্রাসেলস শহরের পথ প্রায় খালি ছিলছবি: DW/B. Riegert

বেলজিয়ামের কর্তৃপক্ষের উপর ভরসা করাই বিস্ময়কর ঘটনা৷ ব্রাসেলস শহরের মোলেনবেক এলাকা উগ্র ইসলামপন্থিদের দুর্গ হিসেবে গোটা ইউরোপে পরিচিত হয়ে ওঠার আগেই বেলজিয়ামের পুলিশের যোগ্যতার অভাব ও খামখেয়ালি মনোভাবের কথা সবার জানা ছিল৷ সবাই মনে মনে এই অবস্থার পরিবর্তন চেয়েছিল৷ রাজধানীবাসীরা তাদের অসীম ধৈর্যের জন্য পরিচিত৷ মনে সন্দেহ দেখা দিলেও তাঁরা পুলিশের প্রতি অন্তত আংশিক আস্থা দেখান৷

রবিবার রাতে তাঁরা পুলিশের আহ্বানে নিরাপত্তা বাহিনীর বিশাল অভিযান সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্চবাচ্য করেননি৷ ইউরোপীয় রাজধানী হিসেবে পরিচিত এই শহরের বিভিন্ন অংশে যখন সাইরেন ও কাঁদানে গ্যাসের শব্দ শোনা যাচ্ছিল, তখন টুইটারে ‘ব্রাসেলসলকডাউন’ হ্যাশট্যাগের মাধ্যমেও বিশেষ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি৷ শুধু কিছু বিড়ালের ছবি চালাচালি হয়েছে৷ এটাই সেখানকার মানুষের হাস্যরসের পরিচয়৷

এত বড় কর্মকাণ্ডের ফলাফল কী? এখনো পর্যন্ত এর কোনো সদুত্তর পাওয়া যা নি৷ গত কয়েক সপ্তাহের মতো অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষকে সম্ভবত মুক্তি দেওয়া হয়েছে৷ যাকে আটক করতে পারলে এত বড় কর্মযজ্ঞ সার্থক হতে পারতো, প্যারিস হামলার সম্ভাব্য হোতা সেই সালাহ আবদেসালাম এখনো পলাতক৷

১৩ই নভেম্বরের পর তাকে নাকি মোলেনবেক এলাকায় দেখা গিয়েছিল৷ লিয়েজ শহর এবং জার্মানির দিকে এক হাইওয়েতেও তাকে দেখা গেছে বলে দাবি উঠেছে৷ এ সব কথা শুনলে মনে হবে, গোটা বেলজিয়াম তার হদিশ জানতো৷ শুধু কর্তৃপক্ষই তাকে ধরতে পারলো না৷ তাদের দায়িত্ববণ্টন নিয়ে এতো জটিলতার মধ্যে এমন কাজ করা কঠিন বটে৷

ব্রাসেলস শহরের ১৯টি এলাকার জন্য একটি বা দুটি নয়, মোট ৬টি ভিন্ন পুলিশ কর্তৃপক্ষ রয়েছে৷ তার উপর আছে ভাষা নিয়ে গোলমাল৷ একদল ফ্লেমিশ, অন্যদল ফরাসি বলে৷ একে অপরের ভাষা না বুঝলেই সমস্যা৷

গত কয়েক দশক ধরে মোলেনবেক এলাকায় যে তিলে তিলে উগ্র ইসলামপন্থিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে, ব্রাসেলস শহর কর্তৃপক্ষ অবশ্যই সে বিষয়ে অবগত ছিল৷ কিন্তু এই প্রবণতার মোকাবিলা করতে তারা বিশেষ পদক্ষেপ নেয়নি৷ মাঝে মধ্যে শুধু কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও তল্লাশি চালিয়েই কাজ সেরেছে পুলিশ৷ কয়েক দিন ধরে শহর অচল রেখেও যে তারা কোনো ফল পায়নি, তা শুধু ব্রাসেলস শহরের মানুষের দুশ্চিন্তার কারণ থাকতে পারে না৷ বেলজিয়ামের কর্তৃপক্ষের যোগ্যতার অভাব এর মধ্যে গোটা ইউরোপের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে৷

Hofmann Maximilian Kommentarbild App
মাক্স হোফমান
Maru Katze Youtube Star
ছবি: picture-alliance/Asian News Network
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য