বিমান চলাচলে ‘পরিবেশ বান্ধব’ নীতিমালা
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯পরিবেশবাদীরা যখন ব্যাপকভাবে অভিযোগ করছেন যে, বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তখনই এ আহ্বান জানানো হলো৷
এয়ার ফ্রান্স, কেএলএম, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ক্যাথে প্যাসিফিক, ভার্জিন আটলান্টিক বিমান সংস্থা এবং বিমান বন্দর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএএ ‘এ্যাভিয়েশন গ্লোবাল ডিল গ্রুপ' (এজিডি) এর ব্যানারে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো হংকং এ এক বৈঠকে মিলিত হয়৷ বৈঠকে তাঁরা বিমান খাতের জন্য পরিবেশ বান্ধব কিছু নীতিমালাও প্রস্তাব করেন৷
এজিডির পক্ষে এক বিবৃতিতে ক্যাথে প্যাসিফিক এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টনি টাইলার বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে বিমান পরিবহণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ অথচ দীর্ঘদিন ধরে বিমান চলাচলকে জলবায়ু দূষণ প্রতিরোধের অংশ হিসেবে না দেখে শুধুমাত্র সমস্যা হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছে৷
তাঁরা বলেন, বিমান পরিবহণ শিল্পের জন্য বাস্তবধর্মী, ন্যায্য এবং ফলপ্রসূ নীতিমালা থাকা দরকার৷ বিমান চলাচলের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক – উভয় সুবিধার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার লক্ষ্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমাতে এ শিল্পের একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা থাকে৷
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইসিএও) এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিমান থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন নিয়ন্ত্রণে একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগের জন্য চেষ্টা করে আসছে৷
'ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ' এর তথ্য মতে, সারা বিশ্বে যে পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হচ্ছে তার দুই শতাংশের উৎস বিমান চলাচল৷ অথচ কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণে গৃহীত কিয়োটো প্রটোকলে বিমান পরিবহণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি৷
এ বছরের শেষ নাগাদ কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যে জাতিসংঘ জলবায়ু সংস্থার উদ্যোগে কিয়োটো প্রটোকলের পরিমার্জন করে আরেকটি আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে৷ বিমান ও নৌ পরিবহণকেও এ চুক্তির আওতায় আনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, কিয়োটো প্রটোকলের প্রথম পর্যায় ২০১২ সালে শেষ হচ্ছে৷
বেশ কিছু বিমান সংস্থা অবশ্য ২০১২ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিজস্ব সীমার মধ্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গমনে বিধি-নিষেধের সমালোচনা করেছেন৷ তারা বলছে, শুধু একটি এলাকার জন্য নয় বরং গোটা পৃথিবীর জন্য সামগ্রিকভাবে এক ও অভিন্ন নীতিমালা থাকা উচিত৷ তা না হলে বর্তমান প্রতিযোগিতার বাজারে কিছু বিমান সংস্থা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে৷