যুদ্ধাপরাধের বিচার
১৬ মে ২০১২বিশ বছর পেরিয়ে গেছে যুদ্ধের পর৷ বিচার শুরু হতে চলেছে অতএব দ্য হেগ'এর আন্তর্জাতিক ফৌজদারি ট্রাইবুনালে৷ সার্বিয়ান জেনারেল রাটকো ম্লাদিচ'এর বিরুদ্ধে বালকান যুদ্ধ ছাড়াও সবচেয়ে বড় যে অভিযোগ, তা হল ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বসনিয়ার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সময় স্রেব্রেনিৎসা হত্যাকাণ্ড এবং ৪৪ মাস ধরে সারায়েভো অবরোধের ঘটনায় তার ভূমিকা৷
স্রেব্রেনিৎসায় সে সময়ে প্রায় ৮০০০ মুসলিম পুরুষ এবং বালক কিশোরদের হত্যা করা হয়েছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাকেই ইউরোপের ভয়াবহতম হত্যাকাণ্ড বলে দেখা হয়ে থাকে৷ অর্থাৎ মূলত গণহত্যা চালানো, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আছে ম্লাদিচের বিরুদ্ধে৷
দ্য হেগ'এর আন্তর্জাতিক ফৌজদারি ট্রাইবুনালে ম্লাদিচ'কে গ্রেপ্তার করে টেনে আনা হয়েছে গত বছরের মে মাসে৷ তখন থেকে তিনি বন্দি রয়েছেন ঠিকই, তবে তার আগে দীর্ঘ ১৫ বছর ম্লাদিচ'কে এই যুদ্ধাপরাধের দায় এড়াতে পালিয়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে৷
প্রায় সত্তর বছর বয়সী সার্বিয়ার প্রাক্তন জেনারেল রাটকো ম্লাদিচ আন্তর্জাতিক আদালতে নিজেকে ‘নির্দোষ' বলে দাবি করেছেন৷ বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা এইসব অভিযোগ ‘দৈত্যাকৃতি'৷ প্রসঙ্গত, ম্লাদিচ যেখানে বন্দি রয়েছেন৷ আর সেই একই কারাগারে রয়েছেন সার্বিয়ার সে সময়ের রাজনৈতিক নেতা রাদোভান কারাজিচ, যার বিরুদ্ধে রয়েছে একই জাতীয় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ৷ কারাজিচকে ২০০৮ সালে বন্দি করে দ্য হেগ'এ বিচারের জন্য আনা হয়েছিল৷ ফলে তার বিচার এখন অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে৷
দ্য হেগ'এর যে আদালতে আজ ম্লাদিচের বিচার শুরু হয়েছে, তার বাইরে স্রেব্রেনিৎসা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের মায়েরা অনেকেই এক জমায়েতে সামিল হয়েছেন৷ তাঁদের নিহত সন্তানদের মৃত্যুর জন্য দায়ী ম্লাদিচ'এর বিচার স্বচক্ষে দেখতে চান তাঁরা৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ