1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে অন্য আশঙ্কা

২৮ নভেম্বর ২০১৩

তালেবান শাসনামলে প্রকাশ্যে ঢিল ছুড়ে মানুষ হত্যার ঘটনা প্রায়ই ঘটতো আফগানিস্তানে৷ বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক বা ‘অবৈধ’ যৌনসম্পর্কে জড়ালে একইভাবে হত্যা করাও নাকি সে দেশে আইনে পরিণত হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/1APcL
Afghan anti drug police and public health ministry of Afghanistan start a new operation to collect drug addicts in Capital of Kabul on 26.11.2013. According to official reports,more than one million drug addict are living in Afghanistan. Photo: H.Sirat / DW Bildergalerie Afghanistan Drogen Drogenabhängigkeit Kabul
ছবি: DW/H. Sirat

সম্প্রতি আফগানিস্তানের দুই নারী পুরুষকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা হয়৷ ঘটনাটি বেশ আলোচিত হয়েছে৷ সে দেশের নারী বিষয়ক সংস্থার প্রধান খাদিজা আখিল বলেছেন, তালেবান প্রভাবিত বাগলান রাজ্যের জয়ি নও গ্রামে ওই দুই বিবাহিত নারী পুরুষকে নিজ নিজ সংসার ছেড়ে গোপনে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা হয়৷ যেহেতু দু জনেরই আলাদা আলাদা সংসার ছিল তাই গ্রামের কিছু মানুষ তালেবান শাসনামলের নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের প্রথমে ঢিল ছুড়েই মারতে চেয়েছিল৷ পরে গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁদের৷ তারপর পরস্ত্রী-র সঙ্গে ‘অবৈধ' সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে হত্যা করা ২৮ বছর বয়সি তরুণটির চোখ উপড়ে ছুরি দিয়ে গলা কেটে ফেলা হয়৷

epa03881434 Afghan school girls attend their school at a makeshift camp due to lack of proper school buildings, in Herat, Afghanistan, 24 September 2013. Although Afghan government and foreign NGO's have taken initiatives to enroll school children from across the country, millions of children at school age yet remain deprived of education and illiteracy is still widespread. EPA/JALIL REZAYEE Afghanistan education literacy
ছবি: picture-alliance/dpa

মানবাধিকার সংস্থাগুলো এমন ঘটনায় যখন উদ্বিগ্ন, ঠিক তখনই আরেকটি আশঙ্কার খবর জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ নিউইয়র্কভিত্তিক এই মানবাধিকার সংস্থার দেয়া খবর অনুযায়ী, আফগানিস্তানে এবার ‘অবৈধ' সম্পর্ক স্থাপনের শাস্তি হিসেবে ঢিল ছুড়ে মারা নাকি আইনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে৷ এমন একটি আইন পাস করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷ এ খবর জানার পরই আফগান সরকারের প্রতি এমন আইনের প্রস্তাব কোনোভাবেই গ্রহণ না করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা৷ এক বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ‘‘(আফগানিস্তানে) আইন সংস্কারের কাজকে সমর্থন করছেন এমন সংস্থাগুলোর পাশাপাশি দাতা সংস্থাগুলোরও উচিত প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইর উদ্দেশে একটি বার্তা পাঠানো৷ তাতে ঢিল ছুড়ে হত্যার বিষয়টিকে নতুন আইনেরও অন্তর্ভুক্ত করা হলে তার প্রভাব সরকারের বিদেশি আর্থিক সহায়তার ওপরও পড়বে – এ বিষয়টিরও উল্লেখ থাকা উচিত৷''

তবে আফগানিস্তানের আইন মন্ত্রণালয়ের শাস্তিবিধান সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আশরাফ আজিমি জানিয়েছেন, এমন কোনো আইনের প্রস্তাব এখনো তাদের কাছে আসেনি৷ তিনি আরো জানান, ১৯৭৬ সালে প্রণীত আইনগুলোর বদলে নতুন আইন চূড়ান্ত করতে আরো অন্তত দু বছর লাগবে৷

আফগানিস্তানে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক কিংবা ‘অবৈধ' যৌন সংসর্গ এখনো আইনত দণ্ডনীয়৷ তবে এ অপরাধে কাউকে ঢিল ছুড়ে মারাকে বর্তমান আইন সমর্থন করে না৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারো সর্বোচ্চ ১৫ বছরের জেল হতে পারে৷

এসিবি/জেডএইচ (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য