প্রাণখোলা হাসি যেভাবে সুস্থ রাখে
হাসি শুধু সাময়িক আনন্দই দেয় না, মানুষকে সুস্থ রাখে, সন্তুষ্ট রাখে, সুখীও করে৷ হাসি সুস্থ থাকার বড় ওষুধ – এ কথা বিশেষজ্ঞরাও বলছেন৷ হাসি শেখার কিছু নমুনা পাবেন এই ছবিঘরে৷
শরীর ও মনের জন্য চাই হাসি
এক সমীক্ষায় জানা গেছে, সাধারণত যে মানুষ নিজে সুখী এবং সন্তুষ্ট, সে সবসময়ই হাসি-খুশি থাকে৷ এক বিশেষজ্ঞের মতে, ‘‘মানুষ যখন হাসতে শুরু করে তখনই তার ভেতরে ইতিবাচক অনুভূতি হয়, যার ফলে জীবনের অনেক দুঃখ ভোলা সহজ হয়ে ওঠে এবং কাজ কর্মে আনন্দ পাওয়া যায়৷’’
কাতুকুতু দিয়ে কী মজার হাসি!
শিশুদের কাতুকুতু দিলেই ওরা খিলখিল করে হেসে ওঠে৷ এই মজার অভিজ্ঞতা হয়তো আমাদের সকলেরই হয়েছে৷ গবেষকরা জানান, বড়দের চেয়ে শিশুরা অনেক তাড়াতাড়ি এবং সহজে এভাবে হঠাৎ করে হাসতে পারে৷ শিশুরা যেখানে দিনে গড়ে ৪০০ বার হাসে আর সেখানে বড়রা হাসে মাত্র ১৫ বার৷
প্রাণীদের হাস্যরস
ঠিক একই জায়গায় এবং একইভাবে কাতুকুতু দিলে বানর শিশুও কিন্তু ঠিক মানবশিশুর মতোই হেসে ওঠে৷ ছবিতে দেখুন সন্তানকে কাতুকুতু দিয়ে হাসিয়ে মজা পেয়ে, ওর মা’ও হাসছে৷ হাসি যে ছোঁয়াচে রোগের মতো, তা বোঝাই যাচ্ছে৷ মানুষ আর বানরের হাসির মধ্যে শুধু পার্থক্য হাসির শব্দে৷
হাসি কি ব্যায়াম?
মানুষ হাসলে কি খেলাধুলা বা ব্যায়াম করার মতো কোনো প্রতিক্রিয়া হয় শরীরে? কেউ জোরে হাসলে শরীরের প্রায় ৮০টির মতো পেশী সক্রিয় হয়৷ এ তথ্য জানান, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল৷
হাসির কোর্স
জার্মানির কোলনে প্রাপ্ত বয়স্কদের শিক্ষা কেন্দ্রে অনেকদিন থেকেই ইয়োগা ক্লাসে হাসির নিয়ম-কানুন শেখানো হচ্ছে৷ হাসির এই মেডিটেশনের শুরু বৌদ্ধধর্মে৷ এর লক্ষ্য হচ্ছে, স্ট্রেস বা মানসিক চাপকে দূরে রাখা, মন এবং শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে আরো সচল করা৷ এভাবে কোর্সের মাধ্যমে হাসি শেখানোর আবিস্কারক একজন ভারতীয়৷ এরই মধ্যে হাজারো ‘হাসির ক্লাব’ গড়ে উঠেছে বিশ্বের ৭০ টিরও বেশি দেশে৷
হাসি সবচেয়ে বড় ওষুধ
প্রাণ খুলে হাসার পর মানুষ ভালো বোধ করে৷ হাসি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজম ক্ষমতাকে উদ্দীপ্ত করে৷ এবং মানুষ যখন জোরে হাসে তখন তার রক্তের ধমনী বিস্তীর্ণ হয়, ফলে হৃদপিন্ডে অক্সিজেন ভালোভাবে যাতায়াত করতে পারে৷ অর্থাৎ হৃদপিন্ড সুস্থ থাকে৷