নৌকা-ধানের শীষের লড়াই
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫২৩৪টি পৌরসভার সবগুলোতেই আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে৷ এর বিপরীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকে ২২৩টি পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন৷
আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ ২০টি রাজনৈতিক দলের ৬৬০ জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় দলীয়ভাবে এ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও, জামায়াত স্বতন্ত্র প্রার্থী দেয় বেশ কিছু পৌরসভায়৷
নির্বাচনে ৩৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়৷ বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষে একজন নিহত এবং ৫০ জন আহত হন৷ আর সহযোগিতার অভিযোগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ২৫ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়৷ এছাড়া নরসিংদির মাধবদি পৌরসভার নির্বাচন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন৷
বিএনপির অভিযোগর ২৩৪টি কেন্দ্র থেকে তাদের পোলিং এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে৷ বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ‘‘সহিংসতা এবং প্রশাসনের সহায়তায় আওয়ামী লীগের লোকজন প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মেরেছে৷''
তবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘বিএনপি-জামাত নির্বাচনে সহিংসতা এবং কারচুপি করেছে৷''
অভিযোগ অবশ্য জাতীয় পার্টিরও আছে৷ তাদের অভিযোগ, জাতীয় দলের ১৭৪ জন পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে৷
এদিকে এবারের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. শান্তনু মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আগের নির্বাচনের চেয়ে (২০১৪ ) এবারের নির্বাচন ভালো হয়েছে৷ তবে এটাকে ‘উত্তম' বলা যাবে না৷''
তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনার বড় একটি অংশ রাজনৈতিক নয়, স্থানীয়৷ তবে এটা ইতিবাচক যে, দলগুলো নির্বাচনের ধারায় ফিরে আসছে৷''
প্রসঙ্গত , এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলো৷ ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি সর্বশেষ দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বচন করে৷ ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে তারা৷ এরপর এই প্রথম কোনো নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় প্রতীক নিয়ে মুখোমুখি হলো৷
বন্ধুরা, আপনি কি ভোট দিয়েছেন? ভোটকেন্দ্রে কোনোরকম সহিংসতা কি আপনার চোখে পড়েছে?