পশুদের ‘সেলফি’!
এটা সেলফির যুগ৷ তা মানুষ কোটি কোটি সেলফি তুললে পশুদের থাকবে না কেন? তানজানিয়ার সেরেংগাতি ন্যাশনাল পার্কে বিজ্ঞানীরা একটা-দুটো নয়, ৩ লাখ ২২ হাজার ‘সেলফি’ হাতে পেয়েছেন৷ সবই পশুদের! দেখুন পশুদের মজার কিছু ছবি৷
হরিণ, হাসো তো দেখি...
সেরেংগেটিতে পশুদের ছবি তোলার আয়োজনটা ছিল ব্যাপক৷ ‘স্ন্যাপশট সেরেংগেটি’ নামের এই প্রকল্পে কাজ করেছেন ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবী৷ পশুদের ৩ লাখ ২২ হাজার ছবি নিয়ে কাজ করতে হয়েছে তাঁদের৷ তাঁদের বেছে নেয়া ছবিগুলোর মধ্যে গোমড়ামুখো এই অ্যান্টিলোপের ছবিটিও ছিল৷ লুকানো ক্যামেরার একেবারে সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল হরিণটি৷ খুবই গম্ভীর এক হরিণ৷ ‘স্মাইল, প্লিজ’ বললেও হাসতো কিনা কে জানে!
এত কাছে!
১ হাজার ১২৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সেরেংগেটির আনাচে-কানাচে ২৫৫টি ক্যামেরা লুকিয়ে রেখেছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ একটি ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই শকুন৷ ‘ভদ্রলোক’, ক্যামেরার এত কাছে চলে এসেছিলেন যে তার মাথায় উকুন থাকলে সেই উকুনটাও দেখা যেত৷
বন্ধুতা
গণ্ডারের পিঠে পাখি৷ বন-জঙ্গলে এমন দৃশ্য বিরল না হলেও এই ছবিটি কিছুটা বিরল৷ পাখিটির নাম অক্সপেকার৷ এরা মূলত পোকামাকড় খায়৷ গণ্ডারের পিঠের পোকা খুব প্রিয় ওদের৷ ছবির এই পাখিটিও গণ্ডারটির পিঠের পোকা খাচ্ছে৷
হায়েনার শিকারের মুহূর্ত
৩ লাখ ২০ হাজার ছবির জন্য নিতে হয়েছে ১২ লাখ স্ন্যাপ৷ বিরল অনেক দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়৷ হায়েনার এই পাখি শিকার মুহূর্তটিও কিন্তু বলে-কয়ে ছবি তুলতে গেলে ফ্রেমবন্দি করা যেত না৷
আহত সিংহ
‘বনের রাজা’ সিংহও কখনো কখনো অসহায়৷ শিকারদের মতো কখনো কখনো তাকেও আহত হয়ে কাতরাতে হয়৷ এই সিংহটি ক্যামেরার সামনে আসার আগেই কোনো এক প্রাণীর আঘাতে আহত হয়েছে৷ শরীর থেকে তখনো গড়িয়ে পড়ছে রক্ত৷
সুখী চিতা পরিবার
ঘাসে শুয়ে আছে কয়েকটি চিতার ছানা৷ মা-র শিকারি চোখ কি দূরে কোনো শিকার খুঁজছে?