1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পবিত্র কোরান নিয়ে পরীক্ষা!

দেবারতি গুহ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ‘ইসলামিক স্টেট’ ও ইসলাম ধর্মের মধ্যে একটা সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে বিশ্ব৷ ইসলাম মানেই জঙ্গিবাদ, ইসলাম মানেই যুদ্ধ – এমন ধারণা উঁকি মারছে যত্রতত্র৷ কিন্তু কোরান কি সত্যি এতটা আগ্রাসী?

https://p.dw.com/p/1HKe5
Symbolbild Katholische Kirche
ছবি: imago/Christian Ohde

আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তো বলেই দিলেন, ‘‘অ্যামেরিকার প্রতি মুসলিমদের বিদ্বেষ এত তীব্র যে তা ‘ধারণারও বাইরে'৷ এই ঘৃণার উৎস কী এবং অ্যামেরিকার জন্য তা কী হুমকি সৃষ্টি করেছে, তা পুরোপুরি বুঝে না ওঠা পর্যন্ত মুসলিমদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চালু রাখতে হবে৷''

আচ্ছা, তাহলে পাশ্চাত্য কি সত্যিই মুসলমানদের বাসের অযোগ্য? কোরান আর বাইবেল কি তবে একে অপরের পরিপন্থি? এ প্রশ্ন জেগেছিল পশ্চিমেরই কিছু তরুণের মাথায়৷ যুক্তি-তর্কে না গিয়ে ওরা একটা ‘এক্সপেরিমেন্ট' বা পরীক্ষা করবে বলে স্থির করলো৷

ভিডিওটা দেখলেই বুঝবেন৷ তবে পরীক্ষাটা অনেকটা এ রকম৷ একটি বাইবেল নিয়ে তার ওপর পবিত্র কোরানের মলাট দিয়ে দিলো ওরা৷ তারপর ধর্মগ্রন্থটির যে অংশগুলি পাশ্চাত্যের আধুনিক সভ্যতার সঙ্গে খাপ খায় না, সেগুলি আলাদা আলাদা করে চিহ্নিত করলো৷ ব্যাস্, ‘হোমওয়ার্ক' শেষ৷ এরপর রাস্তায় গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে সেই অংশগুলো পড়ে শোনালো ওরা৷ মজার বিষয়, উপস্থিত সকলেই কিন্তু ঐ অংশগুলোকে কোরানের অংশ বলে মেনে নিলেন, এমনকি নারী বিদ্বেষী অংশগুলিও৷ কী লেখা ছিল বইটায়? নারীকে হতে হবে ধীর-স্থির, শান্ত৷ তাকে পুরুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার সঙ্গে তাল মানিয়ে চলতে হবে৷ ঔদ্ধত্য নয়, বরং পুরুষের আধিপত্য মেনে নেয়াই নারীর গুণ৷ নারীদের উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন নেই, নারীকে শাসন করতে হবে, প্রয়োজনে তার হাত কেটে ফেলতে হবে৷ আর সমকামিতা? দু'জন পুরুষ যদি যৌন সম্ভোগ করে তবে তাদের হত্যা করা স্রেয়৷

কি? এমনটা কি আজকের দিনে ভাবা যায়? প্রশ্ন করা হলো সকলকে৷ ‘‘অসম্ভব৷ আজকের দিনে এর কোনো অর্থই হয় না৷''

আবারো নতুন প্রশ্ন রাখা হলো৷ আচ্ছা, বাইবেলের সঙ্গে কোরানের পার্থক্য কোথায় বলুন তো? ‘‘কোরান অনেক বেশি আগ্রাসী৷'' ‘‘বাইবেলে নারীকে অনেক বেশি সম্মান দেয়া হয়েছে৷'' ‘‘বাইবেল শান্তির কথা বলে, হিংসার নয়৷''

এখানেই শেষ নয়৷ একজন তো বলে উঠলেন, ‘‘পশ্চিমা বিশ্ব বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী৷ পৃথিবী পালটে গেছে৷ অথচ এখনও এমন কিছু মানুষ আছে, যারা ঐ মান্ধাতা আমলের কিছু লেখাকে ‘শেষ কথা' বলে মেনে আসছে৷ এটা বদলানো দরকার৷ প্রয়োজন একটা সংস্কারের৷''

এবার পরীক্ষার শেষ পর্ব৷ মলাট খুলে ফেলা হতেই বেরিয়ে এলো ভেতরের বাইবেলটি৷ অবিশ্বাস্য, তাই না?

আসলে ইসলাম কথার অর্থ তো ‘শান্তি'৷ তাহলে মানুষের মধ্যে এমন ধারণা, অন্ধবিশ্বাস কোথা থেকে এলো? ‘‘হয়ত এটাও মিডিয়ারই সৃষ্টি'', বললেন একজন৷

বন্ধুরা, আপনার কী মনে হয়? বাইবেল আর কোরান – এই দুটি ধর্মগ্রন্থ কি তাহলে একে অপরের পরিপন্থি নয়?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান