1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কোনো দলের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন নিতে পারে না'

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সদ্য নিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘আমাদের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন৷ আমরা নিরপেক্ষ থাকবো৷ তবে কোনো দল যদি নির্বাচনে না আসে, তাহলে আমাদের কী করার আছে?''

https://p.dw.com/p/2X7a4
Bangladesch Parlamentswahlen
ছবি: AFP/Getty Images

তাঁর মতে, ‘‘নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের আসা না আসার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন নিতে পারে না৷''

আর বাংলাদের প্রথম নারী নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনার হিসেবে এই প্রথম একজন নারীকে নিয়োগ অবশ্যই বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে আরো একধাপ অগ্রগতি৷ ভবিষ্যতে কমিশনে নারীর অংশগ্রহন আরো বাড়বে বলে আশা করি৷''

সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ১০ জনের মধ্য ধেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচ জনকে ররিবার নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ৷ প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদাকে৷

কবিতা খানম

চার জন নির্বাচন কমিশনার হলেন, মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী৷ আগামী ১৪ জানুযারির পর যে কোনো দিন এই নতুন কমিশন শপথ নেবে৷ এই নির্বাচন কমিশনেরই আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করার কথা৷

 

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘‘আমরা আমাদের নিরপেক্ষতা প্রমাণের চেষ্টা করব৷ নিরপেক্ষ থাকবো৷ আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন৷ আর এটা করবো আমরা সংবিধান অনুযায়ী৷ আমরা চাইবো সব দল নির্বাচনে অংশ নিক৷ আমরা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করব৷ তবে কোনো দল যদি নির্বাচনে না আসে, তাহলে আমাদের কী করার আছে? নির্বাচনে যদি কেউ আসে বা না আসে, তার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন নিতে পারে না৷ এটা রাজনৈতিক দলের বিষয়৷''

অন্যদিকে নির্বাচন কশিমনার কবিতা খানম বলেন, ‘‘আমাদের চেষ্টা থাকবে সব দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচন করা৷ আমরা সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাই এবং আমাদের বিশ্বাস আমরা সফল হব৷''

কে এম নুরুল হুদা

তিনি আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশে এই প্রথম নারী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেয়া হলো৷ এটা নারীর ক্ষমতায়নে অবশ্যই একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি৷ আশা করি ভবিষ্যতে নারী নির্বাচন কশিনারের সংখ্যা আরো বাড়বে৷''

 

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ ও সার্চ কমিটি গঠন এবং সেই সার্চ কমিটির দেয়া ১০ জনের নামের তালিকা থেকে পাঁচ জনকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলো৷ সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দলগুলোর দেয়া নাম থেকেই ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে৷

ক্ষমতআসীন আওয়ামী লীগ এই কমিশন গঠনে সন্তোষ প্রকাশ করেছে৷ তারা বলেছে, এই কমিশন নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নাই৷ বিএনপি আজ মঙ্গলবার রাতের যে কোনো সময় আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান