1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কের নির্বাচনে ধর্মনিরপেক্ষ শিবিরের আশা ‘গান্ধী কেমাল’

৪ জুন ২০১১

আগামী ১২ই জুন তুরস্কে সাধারণ নির্বাচন৷ সম্ভবত তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে ইসলামপন্থী আক পার্টি৷ নতুন নেতা ‘গান্ধী কেমাল’কে সম্বল করে আসরে নেমেছে বিরোধীরাও৷

https://p.dw.com/p/11U6h
Supporters under a poster of Kemal Kilicdaroglu, a leading Turkish lawmaker and sole candidate for the leadership of the main opposition Republican People's Party, CHP, during the CHP congress in Ankara, Turkey, Saturday, May 22, 2010. Kilicdaroglu is standing unopposed for the leadership of the pro-secular Republican People's Party at the party's congress Saturday. The 62-year old former bureaucrat headed Turkey's social security agency and led an association dedicated to fighting state corruption before winning a seat in parliament in 2002. (AP Photo/Burhan Ozbilici)
‘গান্ধী কেমাল'ছবি: AP

তুরস্কে এবারের নির্বাচনে শুধু দলগত নয়, আবার এক আদর্শগত সংঘাত দেখা যাবে৷ একদিকে আধুনিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তফা কেমাল আতাতুর্ক'এর অনুগামীরা – যারা বেশ কিছুকাল ধরে রাজনৈতিক আঙিনায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে৷ অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান'এর ইসলামপন্থী আক পার্টি – যে দল ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েও একের পর এক সংস্কার চালিয়ে দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করে দেশ-বিদেশের সমীহ আদায় করতে সফল হয়েছে৷ জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এই দল পর পর দুটি কার্যকাল ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও বিপুল জনসমর্থন হারায় নি৷ তুরস্ক তাহলে কোনদিকে এগোচ্ছে?

আতাতুর্ক তুরস্ককে আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলে পশ্চিমা বিশ্বের দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন৷ সেখানে ইসলাম ধর্মের অবস্থান গৌণ৷ এই আদর্শে অনুপ্রাণিত একাধিক প্রজন্মের জীবনযাত্রা আমূল বদলে গেছে৷ শক্তিশালী সামরিক বাহিনীকে দোসর করে এই এলিট শ্রেণী বহুকাল অনেক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এসেছে৷ অন্যদিকে কড়া রাষ্ট্রীয় নীতির চাপে পড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষ নিজেদের গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল৷ আক পার্টির উত্থান সেই পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে৷ নতুন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তারা আবার সমাজের কেন্দ্রস্থলে এসে পড়েছে৷ ‘দেশ উচ্ছন্নে যাচ্ছে' বলে সেকুলারিস্ট বা ধর্মনিরপেক্ষতার প্রবক্তারা প্রমাদ গুনছেন৷ তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইজমির'এ দুই শিবিরের এই বিভাজন বিশেষভাবে চোখে পড়ে৷ ধর্মীয় আক পার্টি ক্ষমতায় আসার পর সেকুলারিস্টদের দুর্গ বলে পরিচিত এই শহরের প্রতি বৈষম্য দেখিয়ে আসছে বলে অনেকে অভিযোগ তুলছে৷ ভোট না পেয়ে তারা ইজমিরে কল-কারখানা গুটিয়ে ইস্তানবুলে পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করছে৷

এবারের নির্বাচনে কিছুটা হলেও সমর্থন ফিরে পেতে পেতে মরিয়া প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি৷ স্বয়ং আতাতুর্ক এই দলের প্রতিষ্ঠাতা৷ দলের নতুন নেতা কেমাল কেলেচদারোলু'কে ঘিরে নতুন করে আশা দানা বাঁধছে৷ চেহারায় মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে কিছু মিল থাকায় তাঁকে অনেকেই ‘গান্ধী কেমাল' নামে ডাকছে৷ তিনি দলকে বর্তমান যুগের জন্য উপযুক্ত করে তোলার চেষ্টা করছেন এবং মানুষের সমর্থন ফিরে পাচ্ছেন৷ নির্বাচনে জিততে না পারলেও জয়ের ব্যবধান কমানোই আপাতত তাঁর লক্ষ্য৷ সেক্ষেত্রে এর্দোয়ানের দল সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ আসন পাবে না এবং সংবিধান পরিবর্তন করতে পারবে না৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক