1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘তিন কোটি শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত’

৮ মার্চ ২০১১

এর অন্যতম কারণ হল বিভিন্ন সংঘর্ষ আর সংঘাতে শিশুদের সেনা হিসেবে নিয়োগ, পালিয়ে যাওয়া এবং মৃত্যু৷ বার্ষিক গ্লোবাল মনিটরিং রিপোর্টে একথা জানিয়েছে ইউনেস্কো৷

https://p.dw.com/p/10Uz7
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance / dpa

ইউনেস্কোর প্রতিবেদনটির নাম ‘দ্য হিডেন ক্রাইসিস : আর্মড কনফ্লিক্ট অ্যান্ড এডুকেশন'৷ এই প্রতিবেদনের মধ্যে দিয়েই জাতিসংঘকে সতর্ক করে দিয়েছে ইউনেস্কো৷ মিলেনিয়াম উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার লক্ষ্যগুলোর অন্যতম ‘শিশুদের জন্য শিক্ষা' হয়তো ২০১৫ সালের মধ্যে পূরণ করা সম্ভব হবে না৷ কারণ, বিভিন্ন ধরণের সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শিশুদের শিক্ষার কোন ব্যবস্থা একেবারেই নেই৷ সেখানকার শিশুরা খুবই অল্প বয়সে বেঁচে থাকার জন্য হাতে তুলে নেয় অস্ত্র অথবা পরিবারের সঙ্গে দূরে কোথাও পালিয়ে যায়৷ দক্ষিণ এবং পশ্চিম এশিয়াই ‘সবার জন্য শিক্ষা' প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে রয়েছে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তরের চেয়ে৷ তবে মূল চ্যালেঞ্জ এখনো রয়ে গেছে৷

ইউনেস্কোর পরিচালক কেভিন ওয়াটকিন্স এশিয়ায় শিক্ষার বিস্তার মিশ্র বলে মন্তব্য করেন৷ এশিয়ার যে সব দেশে সংঘাত চলছে, সেখানে ‘শিশুদের জন্য শিক্ষা'র কোন স্থান নেই৷ এক্ষেত্রে আফগনিস্তান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে শিক্ষাব্যবস্থা স্থবির হয়ে রয়েছে৷ গত পাঁচ বছরে শিশু মৃত্যুর হার বাড়ার কারণে শিশুদের স্কুলে পাঠানো নয় বরং বাঁচিয়ে রাখাই মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে৷ এরপর আসছে পাকিস্তান৷ ২০০৯ সালে প্রায় ৬ লক্ষ শিশু স্কুলে আসছে না বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷ এর কারণ হিসেবে সংঘাত এড়াতে অন্যত্র চলে যাওয়া এবং মৃত্যুই মূল কারণ বলে জনানো হয়েছে৷ এশিয়াতে প্রায় ২৭ শতাংশ শিশু স্কুলের পড়াশোনা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত৷

Kinder in Bangladesch FLASH-Galerie
বাংলাদেশে ছেলে-মেয়েরা এক সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছে, ব্লগার আলী মাহমেদ এর বিশেষ স্কুল এর ছবিছবি: Ali Mahmed

ভারতে প্রায় ৩০ শতাংশ শিশু বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করে৷ এরা কেউই স্কুলে যায় না৷ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে৷

তবে এক্ষেত্রে পাকিস্তান এবং ভারতে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ৷ সেখানে ছেলে-মেয়েরা এক সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছে৷ সমানে সমান৷ গত দশ বছর ধরে তা লক্ষ্য করা গেছে৷ এর অন্যতম কারণ হল বাংলাদেশ কোন ধরণের অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক সংঘর্ষে জড়িত নয়৷

বিভিন্ন ধরণের সংঘাতের কারণে শিক্ষাক্ষেত্র থেকে বাজেট কমানো হচ্ছে৷ প্রায় ২১টি উন্নয়নশীল দেশ শিক্ষার চেয়ে অস্ত্র কেনার পেছনেই বেশি অর্থ ব্যয় করতে প্রস্তুত৷ প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পেছনে যত অর্থ ব্যয় করা হয় তার এক পঞ্চমাংশ দিয়ে গোটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল রাখা সম্ভব৷ কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য যে বাজেট নির্ধারিত, তার চেয়ে ১.৭ শতাংশ বেশি হচ্ছে সেনাবাহিনীর বাজেট৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ