1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডিএনএ পরীক্ষা

আংকে হিলমান/এআই২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

পরিবারের দাবি ছিল, শিশুটি মৃত জন্ম নিয়েছে৷ কিন্তু বাড়ির বেসমেন্টে রক্তের দাগ সন্দেহের সৃষ্টি করে৷ ফলে করা হয় ডিএনএ পরীক্ষা৷ নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই পরীক্ষায় বেরিয়ে আসে ভয়ংকর তথ্য৷

https://p.dw.com/p/1BDJq
Symbolbild Kindermissbrauch
ছবি: Fotolia/Gina Sanders

অপরাধবৃত্তি দেশ বা সীমান্ত চেনে না৷ আন্তর্জাতিক অপরাধীচক্রগুলির খোঁজে থাকে জার্মান পুলিশ৷ পুলিশের হাতে সেরা অস্ত্র হলো আধুনিক ফরেন্সিক প্রযুক্তি৷

২০১১ সালে একটি বসতবাড়ির উঠোন থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা৷ অভিভাবকরা দাবি করেন, শিশুটি মৃত জন্ম নিয়েছিল৷ কিন্তু বাড়ির বেসমেন্টে থাকা রক্তের দাগ কি শিশুটির জন্মের সময়কার? নাকি শিশুটি অন্য কোথাও জন্ম নিয়েছিল এবং পরবর্তীতে তাকে এখানে এনে হত্যা করা হয়? তাহলে হত্যাকারী কারা?

এ ধরনের তদন্তে সহায়তা করে ডিএনএ টেস্ট৷ তাই বেসমেন্টে পড়ে থাকা রক্তের উৎস সম্পর্কে প্রথমে নিশ্চিত হতে চেয়েছেন গবেষক সোফিয়া ফোরাট৷ এই রক্ত কি শিশুর জন্মের সময় যোনি থেকে নিঃসরিত? নাকি অন্যকিছু? ফোরাট বলেন, ‘‘আমাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের মার্কার রয়েছে৷ নির্দিষ্ট মার্কার ব্যবহার করে আমরা বোঝার চেষ্টা করি সংগৃহীত ডিএনএ শরীরের কোন অংশের৷ এগুলো কি প্রসবকালে যোনি থেকে নিঃসরিত নাকি হত্যাকাণ্ডের সময় ভুক্তভোগীর শরীর থেকে বেরিয়ে আসা রক্তের ডিএনএ৷ এই পরীক্ষার পর আমরা ডিএনএ-র উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারি৷''

ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী পুরো ঘটনা বিশ্লেষণ করে বোঝা যায়, শিশুটির জন্ম বেসমেন্টেই হয়েছিল এবং জন্মের কিছুক্ষণ পর তাকে হত্যা করা হয়৷ ল্যাবরেটরির প্রধান অধ্যাপক ক্লাউস ওলেক ডিএনএ বিশ্লেষণের এই নতুন প্রক্রিয়া নিয়ে গর্বিত৷ তিনি বলেন, ‘‘ডিএনএ পরীক্ষার এই পদ্ধতি এখনো অনন্য৷ আর আমাদের এখানকার মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এ ধরনের পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি৷ তাই আমরা আমাদের প্রযুক্তি দিয়ে অন্যান্য দেশকে সহায়তায় প্রস্তুতি৷''

শিশুটিকে যেখানে হত্যা করা হয়েছে, সেখান থেকে তার বাবার ডিএনএ সনাক্তেও সক্ষম হয়েছেন তদন্তকারীরা৷ তাই তাকে মূল সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য