1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেলিভিশন চ্যানেল এবং ৩৬টি ওয়েবসাইট বন্ধ করলো থাই সরকার

৮ এপ্রিল ২০১০

থাইল্যান্ডের সরকার ব্যাংকক এবং এর আশেপাশের এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করলেও থেমে নেই লালজামাধারীদের বিক্ষোভ৷ এরই মধ্যে আন্দোলনকারীরা সমাবেশস্থল পরিবর্তন করে অবস্থান নিয়েছে ব্যাংককের প্রধান প্রধান রাস্তায়৷

https://p.dw.com/p/MqaP
বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে নিরাপত্তা বাহিনীছবি: AP

বিক্ষোভ যেন শেষ হতে চায় না৷ ব্যস্ত পর্যটন নগরীর মুল সড়কগুলোতে এখন অবস্থান লালজামাধারী বিক্ষোভকারীদের৷ সরকার দুই দিন আগে রাজধানী এবং এর আশে পাশের এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করার পর আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করতে চাইছে বিক্ষোভকারীরা৷ তারা আগামীকাল শুক্রবার বড় ধরণের সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে৷ এরই মধ্যে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ ভেজ্জাজিভা বিক্ষোভ দমাতে কঠোর পদক্ষেপ নেবার কথা বলার পর শহরের বিভিন্ন মোড়ে থাই সেনাবাহিনীকে চেক পয়েন্ট খুলতে দেখা যাচ্ছে৷

তবে এই মুহূর্তে সকলের চোখ বেসরকারি একটি টেলিভিশন কেন্দ্রের দিকে৷ সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়ার্তার মালিকানাধীন থাইকম নামের এই চ্যানেলটির প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ জরুরি আইনের আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার৷ এই টেলিভিশন কেন্দ্রের সামনে জমায়েত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ৷ চ্যানেলটিতে লালজামাধারী আন্দোলনকারীদের সংবাদ প্রচার করা হতো৷ এক ক্ষুব্ধ থাকসিন সমর্থক জানালেন, ‘জনগণকে সত্য ঘটনা জানানোর জন্য কেবল একটিই টেলিভিশন চ্যানেল৷ সরকারি চ্যানেলগুলো মিথ্যাবাদী৷ তারা সত্যকে গোপন করার চেষ্টা করছে৷ আমি এই চ্যানেলই দেখছিলাম৷ কিন্তু এটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ তাই এর প্রতিবাদে আমি এখানে৷'

Thailand Proteste
প্রতিবাদে আনা হয়েছে নানা বৈচিত্র্যছবি: AP

আন্দোলনকারীরা চাইছেন এই টেলিভিশন চ্যানেলটির সম্প্রচার আবার চালু করা হোক৷ সরকার এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না দিয়ে বরঞ্চ এরই মধ্যে অন্তত ৩৬টি ওয়েবসাইট ব্লক করে দিয়েছে৷ সরকারের অভিযোগ, এই সব প্রচারমাধ্যম মিথ্যে কাহিনী ছড়িয়ে মানুষদের সরকারের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তুলছে৷

দেশের পরিস্থিতির কথাটি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ হ্যানয় এ তাঁর নির্ধারিত সফর বাতিল করে দিয়েছেন৷ সেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ এই সফর বাতিলের ফলে মনে করা হচ্ছে যে অভিজিৎ বেশ উদ্বেগের মধ্যেই আছেন৷ তা না হলে এত গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে যাবার সিদ্ধান্ত উনি বাতিল করলেন কেন? অবশ্য এই আন্দোলন যে কেবল দেশের পর্যটন শিল্পকেই ক্ষতি করেছে, তাই নয়৷ বড় ধরণের ধসের আশঙ্কায় কমে গেছে থাই স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার বিক্রি৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক