জার্মানির পাতালপুরিতে সব রহস্যের উন্মোচন হয়নি
৩ অক্টোবর ২০১৭পাতালপুরিতে প্রবেশের গর্ত খোঁড়া হয়ে গেছে৷ কিন্তু সত্যি কি গুহার ছাদ ভেদ করা গেছে? হাতেনাতে পরখ করে নিশ্চিত হতে হবে৷ আন্দ্রেয়াস ক্যুশা বলেন, ‘‘আজ স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে৷ আমরা ‘স্টেয়ারওয়ে টু হেভেন' গুহার মাঝে বেরিয়েছি, পরিকল্পনামতো করিডোরের উচ্চতম অংশে৷''
অবশেষে অন্যান্য বিজ্ঞানীরাও গুহায় প্রবেশ করে পাথর পরীক্ষা ও পরিমাপ করতে পারেন৷ লেজারের মাধ্যমে গোটা গুহা প্রণালী স্ক্যান করা হচ্ছে৷ ফলে জানা গেল, তার শাখা-প্রশাখা ১০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ৷ বিজ্ঞানীরা পাতাল নদীতে ফ্লুরোসেন্ট রং ঢেলেছেন৷ এর মাধ্যমে তাঁরা নদীর প্রবাহ ও কোথায় তা ভূপৃষ্ঠে উঠে আসছে, তা জানতে পারবেন৷
অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষগুলি গুহা প্রণালীর আরও গভীরে প্রবেশ করছেন৷ এর আগে সেখানে কোনো মানুষ পা রাখেনি৷ এই গুহার বয়স কত? ঠিক কবে এর সৃষ্টি হয়েছিল? সেই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছে৷ হয়ত কখনো সেখান থেকে নির্গমনের পথও খুঁজে পাওয়া যাবে৷ আচমকা পথ আরও সরু হয়ে গেল৷ মনে হয় আর এগোনোর উপায় নেই৷ ইয়খেন মালমান বলেন, ‘‘কাদার গর্ত নীচে নেমে গেছে, মাত্র ৬০ সেন্টিমিটার উঁচু একটা খোলা অংশ আছে৷ মনে হয় গলতে পারবো৷''
মাটির গভীরে আটকে পড়ার আশঙ্কা দুর্বলচিত্ত মানুষদের জন্য নয়৷ গবেষকরা সরু অংশ দিয়ে গলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন৷ জাদুময় এক দৃশ্য সেই পরিশ্রম সার্থক করে দিলো৷ ধাতু জমে অপরূপ সব ভাস্কর্য সৃষ্টি হয়েছে৷ জার্মানিতে এর তুলনা পাওয়া যাবে না৷ বিস্ময়ে ভরা এই জগত৷ গবেষকরা নিশ্চিত যে, এটা একটা সূচনা মাত্র৷ আন্দ্রেয়াস ক্যুশা বলেন, ‘‘আরও নতুন গুহার প্রবেশদ্বার ও পথ আবিষ্কার এবং পরিমাপ করা আমাদের লক্ষ্য৷ এই সব গুহার সৌন্দর্য আমরা বাইরের জগতে নিয়ে আসতে চাই৷ অবশ্যই নতুন বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অর্জন করতে চাই৷''
ব্লাউটফ জলাধারে যে আরও অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷