1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জার্মান তরুণরা

১০ ডিসেম্বর ২০১৬

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তরুণদের সচেতন করতে ইউরোপের স্কুলগুলোতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ মৌলবাদবিরোধী এক প্রকল্প শুরু হয়েছে জার্মানির স্কুলগুলোতে৷ বিভিন্ন গণমাধ্যম ‘এক্সট্রিম ডায়লগ' নামে নতুন প্রকল্প শুরু করেছে৷

https://p.dw.com/p/2TxEU
Deutschland Schulen und Internet im Unterricht
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Kastl

সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে এ বিষয়ে স্কুলগুলোতে সচেতনতামূলক প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ এরই অংশ হিসেবে জার্মানির স্কুলগুলোতে মৌলবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা এবং সন্ত্রাসবাদবিরোধী সচেতনতামূলক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে৷ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের ভেকটা শহরে গত সপ্তাহে শুরু হয়েছে এই উদ্যোগ৷

এই প্রকল্পের জার্মান পরিচালক হ্যারাল্ড ভাইলনবোক জানালেন, ‘‘পাঠ্যসূচিতে অপরাধকে ঘৃণা করতে শেখানো হচ্ছে একই সাথে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন আদর্শ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে তারা ধর্মীয় বিষয়গুলো দর্শনের সাহায্যে বুঝতে পারে৷ এর ফলে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাববার, তর্ক করার, আলোচনা করার মানসিকতা তৈরি হবে৷ তারা এ সব বিষয়ে প্রশ্ন করতে শিখবে৷'' তিনি আরও জানান, ‘‘আমরা প্রত্যেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় উগ্র ও কট্টরপন্থি মানুষের সাথে কথা বলেছি৷ তারা এমন ভাবে কথা বলে যে তার বিপক্ষে কোনো যুক্তি শুনতে চায় না৷ নিজেদের চিন্তার বাইরে গিয়েও যে ভাবা যায় এই ভাবনাটা তৈরির মানসিকতা যাতে তরুণদের মধ্যে তৈরি হয়, তাই এই প্রকল্প৷''

এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরনের গল্প তৈরি করা হচ্ছে৷ অনুভূতি প্রবণ, যুক্তিবাদ, বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, আস্থা ও বিশ্বাসের গল্প৷ স্কুলের শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন ওয়ার্কশপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এসব বিষয়ে জানানো হবে৷ কর্মশালাগুলো করাবে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা৷

‘এক্সট্রিম ডায়লগ ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম '-এ সহায়তায় হচ্ছে এই প্রকল্প৷ যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্ট্র্যাটেজিক ডায়লগ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় প্রকল্পটি চলছে৷ বিভিন্ন ভাষাভাষীদের মধ্যে বিনামূল্যে এ ধরনের শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে তারা৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গিবাদের কারণে যেসব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে বানানো হয়েছে শর্টফিল্ম, যা দেখানো হবে এ সব কর্মশালায়৷

একটি শর্টফিল্ম হয়েছে ক্রিস্টিয়ানে বোদ্রোর জীবনের ঘটনা নিয়ে৷ যার ছেলে দামিয়ান ক্যানাডা ছেড়ে ২০১৪ সালে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটে বা আইএস-এ যোগ দেয় এবং তাদের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রাণ হারায়৷ এরপর থেকে ঐ মা সেসব পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন, যাদের ছেলে বাড়ি ছেড়ে জঙ্গিবাদে যোগ দিয়েছে৷ একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন, যার নাম ‘মাদারস ফর লাইফ'৷

ক্রিস্টিয়ানে ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিশুরা যা জানতে চায় তাই ইচ্ছেমতো দেখতে ও জানতে পারে৷ আপনি ইচ্ছে করে সেই অবাধ বিচরণ বাড়িতে আটকাতে পারেন, কিন্তু বাইরে বন্ধুদের কাছ থেকে আটকাবেন কীভাবে? তাদের নানা বিষয়ে কৌতূহল দমন করাটা কঠিন৷ তাই কিশোরদের মধ্যে যে ফ্যান্টাসি বা রোমান্টিকতা কাজ করে, সে কারণে তারা সন্ত্রাসবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়৷''

তাঁর মতে, এ ধরনের শর্টফিল্ম যে কোনো মানুষকে এত নাড়িয়ে দেয় যে তাদের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়৷ স্কুলগুলোতে যে পরিবেশে তাদের এই কর্মশালা হবে, তাতে প্রাণ খুলে কথা বলতে পারবে শিক্ষার্থীরা৷ তাই নির্দিধায় তাদের মনের প্রশ্ন গুলোর জবাব চাইতে পারবে৷

বার্লিনভিত্তিক ভায়োলেন্স প্রিভেনশন নেটওয়ার্ক ভিপিএন এ কাজে সাহায্য করছে৷ অনেক আগে থেকেই জার্মানিতে সন্ত্রাসবাদবিরোধী প্রকল্প চলছে৷ ৯০-এর দশক থেকে জার্মান সরকার এক আইন করেছে সন্ত্রাসবাদ নিরসনে৷ বছরে ২ কোটি ১০ লাখ ইউরো ব্যয় হয় এই খাতে৷ তবে এই আইন করা হয়েছিল নব্য নাৎসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে৷

বেন নাইট/এপিবি

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তরুণদের আরো কীভাবে সচেতন করা যায়? লিখুন নীচে, মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান