কারাগারের জীবন এমন ভয়ংকর!
ফিলিপাইন্সের কেসন শহরের কারাগার, যেটির অবস্থান রাজধানী ম্যানিলার খুব কাছে৷ সেখানকার বন্দিদের জীবনযাপনের ভয়াবহ চিত্র দেখুন ছবিঘরে৷
খোলা জায়গায় থাকা
গারদে যাদের জায়গা হয় না, তাদের খোলা জায়গায় রাত কাটাতে হয়, যেখানে কোনো ছাদ নেই৷ এখন ফিলিপাইন্সে বর্ষাকাল৷ প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে, আর এ সময় এমন খোলা জায়গায় রাত কাটানো কতটা কষ্টকর তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷
গারদে কয়েক ধাপ
একটি গারদে অনেকগুলো হ্যামক ঝোলানো আছে৷ একটি হ্যামকেও যদি জায়গা পাওয়া যায়, তাহলে তার ভাগ্য ভালো৷ ৬০ বছর আগে কারাগারটি নির্মিত হয়েছে, যেখানে থাকতে পারে ৮০০ বন্দি৷ অথচ বর্তমানে সেখানে আছে ৩,৮০০ বন্দি৷
শান্তিতে শ্বাস নেয়ার জায়গার অভাব
কারাগারের প্রতিটি ইঞ্চি পরিপূর্ণ-এক ফোটাও জায়গা যে নেই ছবি দেখলেই তা বোঝা যায়৷ বন্দিদের বেশিরভাগই পাতলা কাপড়ের উপর বা কেবল খালি মেঝেতে ঘুমিয়ে থাকে৷
স্বাস্থ্যের দিকে নজর
ব্যায়ামাগারে এক বন্দি শরীর চর্চা করছে৷
কঠিন নিয়ম
পেছনের সাইনবোর্ডে বন্দিদের কিছু নির্দেশনা দেয়া আছে কারাগারের নিয়ম সম্পর্কে৷ এখানে কয়েকজন বন্দিকে দেখা যাচ্ছে হাতকড়া পড়া অবস্থায়, যারা বিচারের অপেক্ষায় আছে৷
পরিচ্ছন্নতা কাজ
অন্যরা যখন এমনি বসে সময় নষ্ট করছে, তখন একজন বন্দি কারাগারের টয়লেট পরিষ্কার করছে৷
কাপড় ধোয়া এবং গোসল
কখনো কখনো বন্দিরা নিজেদের পরিষ্কার করার এবং কাপড় ধোয়ার সুযোগ পায়৷
রাতের বন্দিশালা
সন্ধ্যায় কারাগারের বাইরে তালা ঝুলিয়ে দিচ্ছে এক নিরাপত্তারক্ষী, যেখানে কয়েদিরা আর একটি দুঃসহ রাত পার করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷
ভয়াবহ পরিস্থিতি
কারাগারের এই অমানবিক পরিস্থিতির জন্য নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডুতের্তেকে দায়ী করছেন অনেকে৷ মাদকের বিরুদ্ধে তার প্রচারণা এতটাই কড়া যে, কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হয় না৷ তিনি মাদকাসক্তদের মেরে ফেলার জন্য মানুষকে আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল৷ এ পর্যন্ত ৬ লাখ মাদক পাচারকারী ও মাদকাসক্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে৷