এখন ব্ল্যাক বক্সের উপর আশা
৭ জানুয়ারি ২০১৫এয়ারএশিয়া-র এয়ারবাস এ৩২০-২০০ বিমানটি গত ২৮শে ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুরাবাইয়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে ১৬২ জন আরোহী সহ অন্তর্হিত হয়৷ সে'যাবৎ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য স্থল, বিমানের ধ্বংসাবশেষের কিছু কিছু অংশ, এবং নিহতদের প্রায় এক-চতুর্থাংশের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷
দুর্ঘটনা কেন ঘটল, তার কারণ নিয়ে আপাতত শুধু জল্পনা-কল্পনা চলেছে – যেমন বিমানের কাঠামোর কোনো দুর্বলতা৷ নয়ত ২০০৯ সালে অতলান্তিক মহাসাগরে একটি এয়ার ফ্রান্স বিমানের দুর্ঘটনার কথা স্মরণ করা হচ্ছে৷ এয়ার ফ্রান্সের বিমানটি রিও ডি জানিরো থেকে প্যারিস যাবার পথে ‘স্টল' করে, অর্থাৎ গোঁত্তা খেয়ে সাগরে পতিত হয়৷ জেরি সুইয়াটমান ডয়চে ভেলেকে বলেছেন যে, এয়ার এশিয়ার বিমানটি কেন দুর্ঘটনায় পতিত হল, তা নির্ধারণ করার জন্য বিমানটির ব্ল্যাক বক্স এবং তার ফিউজেলাজ-এর বিশেষ বিশেষ অংশ উদ্ধার করা প্রয়োজন৷
ডিডাব্লিউ: (ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১) বিমানটির যে ধ্বংসাবশেষ (এ যাবৎ) উদ্ধার করা হয়েছে, তা থেকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে কী বলা যায়?
জেরি সুইয়াটমান: খুব বেশি খুঁজে পাওয়া যায়নি....এয়ার ফ্রান্স ৪৪৭-এর মতো নয়, যার অনেকগুলো অংশ ভাসতে দেখা গিয়েছিল এবং সেই অংশগুলো থেকে বলা গিয়েছিল, কী ঘটে থাকতে পারে (বিমানটা কম গতিতে যাচ্ছিল কিন্তু জোরগতিতে জলের উপর ধাক্কা খায়)৷ পরে ব্ল্যাক বক্স থেকেও তা-ই প্রমাণিত হয়৷
বিমানের ধ্বংসাবশেষ যেখানে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে কী বোঝা যায়?
কিছু ধ্বংসাবশেষ এবং আরোহীদের লাশ যেখানে পাওয়া গিয়েছে, সে জায়গাটা বিমানটিকে যেখানে শেষবার রাডারে দেখা গিয়েছিল, তার থেকে খুব বেশি দূরে নয়৷ এর অর্থ যে, বিমানটি খুব বেশি দূরে যেতে পারেনি – যা থেকে অপেক্ষাকৃত কম গতিতে ওড়া এবং দ্রুতগতিতে নীচে পড়ার কথা আন্দাজ করা যেতে পারে৷
অনেক বিশ্লেষক বলছেন, দুর্ঘটনা ঘটেছে সম্ভবত খারাপ আবহাওয়ার কারণে৷ আপনার কী মত?
বিমান দুর্ঘটনা ঘটার পিছনে সবসময়েই একটির বেশি কারণ থাকে৷ এই দুর্ঘটনার কারণগুলির মধ্যে খারাপ আবহাওয়া থাকবে বৈকি, কিন্তু সেটা মুখ্য কারণ হবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না৷