1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার সাইবার হামলায় কাঁপল ফ্রান্স

১০ এপ্রিল ২০১৫

জানুয়ারির সন্ত্রাসী হামলার পর প্যারিসে এবার সাইবার হামলা৷ বন্ধ ছিলো ফ্রান্সের টিভি ফাইভ-এর অনুষ্ঠান৷ ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও ছিল হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে৷ আইএস-এর নামে চালানো হয় নজীরবিহীন এই সাইবার হামলা৷

https://p.dw.com/p/1F5nP
Frankreich Polizist vor der Zentrale von TV5 Monde in Paris
ছবি: Reuters/B. Tessier

বুধবার রাতে হঠাৎ অন্ধকার হয়ে যায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ‘টেভে স্যাঁক মোঁদ' বা টিভি ফাইভ-এর আন্তর্জাতিক পরিষেবার ১১টি চ্যানেলের পর্দা৷ পাশাপাশি তাদের ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয় হ্যাকাররা৷ নিজেদের ‘সাইবারখিলাফত' পরিচয় দিয়ে হ্যাকাররা ওয়েবসাইটে লিখে দেয়, ‘আমি আইএস'৷ ইংরেজিতে এভাবে নিজেদের আইএস-এর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বা জঙ্গি এই ইসলামী সংগঠনটির প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়েই তারা থামেনি৷ ইরাকে ফ্রান্সের যেসব সেনা সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আইএস-এর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছেন, তাঁদের ছবি এবং জীবন বৃত্তান্ত প্রকাশ করে লিখেছে, ‘‘ফরাসি সৈন্যরা, ইসলামিক স্টেট থেকে দূরে থাকো৷ এখনো নিজেদের পরিবারকে রক্ষা করার সুযোগ আছে, সুযোগটা গ্রহণ করো৷''

সাইবার হামলার বিষয়টি নজরে আসা মাত্রই তড়িৎ ব্যবস্থা নেয় ফরাসি কর্তৃপক্ষ৷ তবে সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করা সম্ভব হয়নি৷ বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবারের বেশ বড় একটা সময় পর্যন্ত আগের ধারণ করা অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়৷ সন্ধ্যায় শুরু হয় নিয়মিত অনুষ্ঠান৷ টিভি ফাইভ জানিয়েছে, অনুষ্ঠান সম্প্রচার এবং ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে কিছুটা সময় লাগবে৷

এদিকে ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রী ফ্ল্যোর পেলেব়্যাঁ টিভি ফাইভ-এর এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর দেশের পুরো সংবাদ মাধ্যমকেই সতর্কাবস্থায় থাকতে বলেছেন৷ তিনি মনে করেন, হ্যাকাররা হঠাৎ করে অপতৎপরতা শুরু করেনি, কিংবা শুধু টিভি ফাইভ-কেই তাদের টার্গেট করার কথা নয়, সুতরাং আরো সাইবার হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিলে ভুল হবে৷

টিভি ফাইভ-এর নিয়মিত অনুষ্ঠানমালা প্রায় ১৮ ঘণ্টা বন্ধ রাখা এই সাইবার হামলার পর ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গত জানুয়ারিতেই ‘শার্লি এব্দো' নামের একটি ব্যঙ্গ পত্রিকা অফিস এবং ইহুদিদের মালিকানাধীন একটি দোকানে নৃশংস হামলা হয়েছিল৷ ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস-এর বিরুদ্ধে ফরাসি সৈন্যরা বিমান হামলায় অংশ নেয়ার পর থেকেই ফ্রান্সকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে ইসলামী জঙ্গীরা৷ তবে আইএস-এর হয়ে সংবাদ মাধ্যমে সাইবার হামলার ঘটনা ফ্রান্সের বাইরেও ঘটেছে৷ গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজউইক পত্রিকার টুইটার এবং সে দেশের সেনাবাহিনীর টুইটার এবং ইউটিউব অ্যাকাউন্টের উপরও আইএস-এর পক্ষ থেকে সাইবার হামলা চালিয়েছিল হ্যাকাররা৷

এসিবি/এসবি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য