1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঢাকায় জাপানি নারীর লাশ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৪ নভেম্বর ২০১৫

এবার বাংলাদেশে এক জাপানী নারী নিখোঁজ হওয়ার পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা৷ আর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ৷

https://p.dw.com/p/1HBmH
Bangladesch Italiener IS Opfer Erschießung Dhaka
ছবি: picture-alliance/AP Photo/ A.M. Ahad)

জাপানী ওই নারীর নাম হিরোয়ি মিয়েতা (৫৫)৷ তিনি প্রায় একমাস আগে ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন৷ উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ জানায়, নিহত মিয়েতা উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে ১৩/বি নম্বর সড়কের ৮ নম্বর ‘হোল্ডিংয়ে সিটি হোমস' নামে একটি ডরমিটারিতে থাকতেন৷ গত আগস্টে তিনি তাঁর কয়েকজন ব্যবসায়িক পার্টনারের পরামর্শে উত্তরার ভাটারা থ এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন৷ মিয়েতার সঙ্গে জাপানে বসবাসরত তার মায়ের সঙ্গে প্রতিদিন টেলিফোনে কথা হত৷ গত ২৬শে অক্টোবর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান তার মা৷ এরপর তিনি ঢাকায় জাপান দূতাবাসকে বিষয়টি জানান৷

জাপান দূতাবাসের পক্ষে ভাইস কাউন্সিলর কুসুকি মাৎসুনা প্রথমে বিষয়টি থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানান৷ পরে ১৯শে নভেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় মিয়েতা নিখোঁজ থাকার বিষয়ে তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি করেন৷ এরপর পুলিশ তাঁর পাঁচজন ব্যবসায়িক পার্টনারকে আটক করে৷ তারা তাঁকে হত্যা এবং লাশ উত্তরার খালপাড় এলাকায় দাফন করার কথা স্বীকার করে বলে পুলিশ জানায়৷ পুলিশ কবর থেকে লাশ উত্তোলন এবং ময়না তদন্তের জন্য আবেদন করেছে৷

[No title]

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলের কাছে এনিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন,‌ ‘‘জাপানি নারীকে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা জানার জন্য তদন্ত চলছে৷ আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং লাশ তুলে ময়না তদন্তের পরই এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাবে।‘‘
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, জাপানি নারীকে অপহরণ করে হত্যার পর লাশ গুম করার চেষ্টা করেছিল দুর্বৃত্তরা৷তিনি ঢাকায় তৈরি পোশাকের বায়িং হাউজের ব্যবসা করতেন বলে জানা যায়৷

এই ঘটনায় আটকরা হলেন, মো. মারুফ, রাশেদুল হক বাপ্পী, ফখরুল ইসলাম, ডা. বিমল চন্দ্র শীল ও মো. জাহাঙ্গীর৷

এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জাপানী নারী হত্যার বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করার কথা বললেও তা বাতিল করে৷

প্রসঙ্গত বাংলাদেশে গত দুই মানে একজন ইটালিয়ান এবং একজন জাপানি নাগরিককে হত্যা করা হয়৷ এছাড়া আরো ইটালিয়ান নাগরিক ও একজন খ্রীস্টান ধর্ম যাজককে হত্যার চেষ্টা করা হয়৷ আর সর্বশেষ এক জাপানী নারীকে হত্যার খবর পাওয়া গেল৷

এ নিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে খুন গুমের ঘটনা যেন স্বাভাবিক৷ কিন্তু এরমধ্যেই বিদেশিরা অনেকটা নিরাপদে ছিলেন৷ কিন্তু গত দু'মাসে তাঁদের ওপর যে হামলা হয়েছে তাতে আর তাঁরা বাংলাদেশে নিরাপদ নন বলেই মনে হয়৷ আর সর্বশেষ তারা নিখোঁজ, হত্যা এবং গুমেরও শিকার হলেন৷''

এলিনা খান আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকারকে এখনই বিদেশিদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে৷ নয়তো বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগ করতে বা থাকতে চাইবেনা৷''

‘‘বাংলাদেশ সরকারকে এখনই বিদেশিদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে৷’’ প্রিয় পাঠক এলিনা খানের সাথে কী আপনি একমত ? নীচের মন্তব্যের ঘরে লিখে জানান৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান