ইতিহাস গড়লেন ব্রুনেইয়ের তিন নারী
সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই৷ সেই সৌদি আরবেই যাত্রীবাহী বিমান চালিয়ে গেলেন ব্রুনেইয়ের তিন নারী৷
প্রথম ঘটনা
হিজাব পরা এই তিন নারী সম্প্রতি ব্রুনেইয়ের রাজধানী থেকে যাত্রীবাহী একটি বিমান চালিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় অবতরণ করেন৷ রয়েল ব্রুনেই এয়ারলাইনস এই প্রথম শুধু নারীদের দিয়ে কোনো ফ্লাইট পরিচালনা করল৷
প্রথম নারী পাইলট
ফ্লাইটটিতে ক্যাপটেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শরিফাহ জারেনা সুরাইনি৷ তিন বছর আগে তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোনো বিমান কোম্পানির প্রথম নারী পাইলট হিসেবে বিমান চালিয়ে লন্ডন থেকে ব্রুনেই পৌঁছেছিলেন৷ সৌদি আরবে যাওয়া ফ্লাইটে সুরাইনি ছাড়াও ছিলেন সিনিয়র ফার্স্ট অফিসার নাদিয়া কাশিম ও সারিয়ানা নর্ডিন৷
অনন্য ঘটনা
তিন নারী ফ্লাইট নিয়ে যে জেদ্দায় পৌঁছেছেন সেটি আরেকদিক থেকেও অনন্য৷ কারণ তাঁরা এমন এক দেশে গেছেন যেখানে নারীদের গাড়ি চালানোরই অনুমতি নেই!
প্রতিবাদ
সৌদি আরবের এমন আইনের প্রতিবাদ চলছে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে৷ ফেসবুকে এ বিষয়ক একটি পাতায় (সাপোর্ট #উইমেনটুড্রাইভ) ১৮ হাজারেরও বেশি ‘লাইক’ পড়েছে৷
ব্রুনেইয়ে নারীদের অবস্থা
সেখানে চাকরির ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য নেই৷ তালাক ও সন্তান পালন বিষয়ে পুরুষের সমান অধিকার ভোগ করেন নারীরা৷ তবে নারীরা যেটা পারেন না সেটা হচ্ছে তাদের ভোট দেয়ার ও নির্বাচনে অংশ নেয়ার অধিকার নেই৷
পথপ্রদর্শক
ছবিতে বিমানের উপর দাঁড়িয়ে আছেন যিনি তাঁর নাম এমেলিয়া আরহার্ট৷ প্রথম নারী পাইলট হিসেবে তিনি বিমান নিয়ে অ্যাটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেন৷ এ জন্য তাঁকে ‘ডিসটিঙ্গুইশ্ড ফ্লাইং ক্রস’ খেতাব দেয়া হয়েছিল৷