1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবশেষে কুর্দিদের দাবি মানল তুরস্ক

২১ অক্টোবর ২০১৪

আইএস-এর দখলে চলে যাওয়ার আশঙ্কার মুখে কোবানি৷ সিরিয়ার এই শহর রক্ষায় মরিয়া তুর্কি কুর্দিরা তুরস্ক সরকারের সহায়তা চাইছিল৷ তুর্কি সরকার কুর্দিদের দুটি দাবি মেনে নেয়ায় কোবানি পরিস্থিতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1DZ9A
Kampf um Kobane 20.10.2014
ছবি: Reuters/Kai Pfaffenbach

তু্রস্কের কুর্দিরা চাইলেও এতদিন সীমান্তের সিরীয় শহর কোবানি রক্ষার জন্য ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিতে পারছিলনা৷ সমস্যা ছিল দুটো৷ প্রথমত, আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতো আধুনিক অস্ত্রের অভাব৷ দ্বিতীয়ত, তুরস্কের যে অঞ্চলে কুর্দি পেশমের্গা যোদ্ধাদের অবস্থান, সেখান থেকে সীমান্ত পর্যন্ত যেতে না পারা৷ ইরাকি কুর্দিরা তুর্কি কুর্দিদের অস্ত্র সরবরাহ করতে চাইলেও তুরস্ক সরকার তাতে সম্মতি দিচ্ছিলনা৷ তুরস্কের ভূমি ব্যবহার করে পেশমের্গা সেনারা সীমান্ত পর্যন্ত গিয়ে আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেবে- তাতেও আপত্তি ছিল তুর্কি সরকারের৷

এতদিন এ কারণে অসম যুদ্ধই চলছিল কোবানিতে৷ অবশেষে কুর্দিদের দুটি দাবিই মেনে নিয়েছে তুরস্ক সরকার৷ ফলে তুরস্কের সীমান্ত অতিক্রম করে কুর্দিদের আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়ার পথে আর কোনো বাধা নেই৷ ইতিমধ্যে অস্ত্রও পেয়েছে কুর্দিরা৷ ইরাকি কুর্দিদের প্রতিনিধি হেমিন হাওরামি, নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, সোমবার ২১ টন অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিমান থেকে তুরস্কের একটি কুর্দি অধ্যুষিত এলাকায় ফেলা হয়েছে৷ বার্তা সংস্থাগুলোর খবর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমান থেকে অস্ত্রগুলো ফেলা হয়েছে৷

Kampf um Kobane 21.10.2014
যুদ্ধ চলছে কোবানিতেছবি: picture-alliance/AP Photo/Lefteris Pitarakis

এদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট কাভুসোগ্লু জানিয়েছেন, আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পেশমের্গা বাহিনীকে তাঁদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সহায়তা দিতে শুরু করেছে তাঁর সরকার৷ অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকার তুরস্ককে ‘‘পেশমের্গা এবং অন্যান্য বাহিনীকে আইএস-এর বিরুদ্ধে কোবানি রক্ষার লড়াইয়ে অংশ নেয়ার ব্যাপারে সহায়তা করতে বলেছিল৷'' তুর্কি সরকার অবশেষে কুর্দিদের সহায়তা করতে রাজি হওয়ায় কেরির প্রত্যাশা, ‘‘কুর্দিরা এখন যুদ্ধটা চালিয়ে যাবে৷'' তুরস্ক সরকারের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও চাপ ছিল৷ সোমবারই ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুর্কি সরকারের প্রতি কুর্দিদের জন্য কোবানির পাশের সীমান্ত খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল৷ তুরস্ক সরকারের নীরব দর্শকের ভূমিকায় তুরস্কেও দেখা দিয়েছিল অসন্তোষ৷ তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বের কয়েকটি শহরের কুর্দিরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল৷ ত্রিমুখী চাপের মুখেই অবশেষে আগের অবস্থান থেকে সরে কোবানি রক্ষায় কুর্দিদের সহায়তা করতে সম্মত হলো তুরস্ক সরকার৷

এসিবি/জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য