1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্পেনের জন্য শেষ সুযোগ?

১৩ মে ২০১৮

দশ বছর আগে তাঁদের দাপটেই ফুটবল বিশ্বকে শাসন শুরু করেছিল স্পেন৷ এবার বিশ্বকাপ জয়ের শেষ সুযোগটি পাচ্ছেন তাঁরা৷ ইনিয়েস্তা, রামোস, পিকেরা কি পারবেন আবার বিশ্বকাপ জিততে?

https://p.dw.com/p/2xWzf
ছবি: Getty Images/D. Doyle

২০০৮ থেকে ২০১২ – ওই চারটি বছর নিঃসন্দেহে নিজেদের ফুটবল ইতিহাসের সেরা সময় কাটিয়েছে স্পেন৷ দু'টি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ এবং দেশের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ জেতা হয়েছিল সেই সময়েই৷ আর তিনটি সাফল্যই এসেছিল স্প্যানিশ ফুটবলের সোনালি প্রজন্ম হিসেবে পরিচিত এক ঝাঁক প্রতিভাবান ফুটবলারের দৃষ্টিনন্দন ফুটবলে৷

সেই ঝাঁকের অন্যতম পুরোধা জাভি ইতিমধ্যে অবসর নিয়ে ফেলেছেন৷ গোলরক্ষক কাসিয়াসের এখন আর দলে জায়গা নিশ্চিত নয়৷ তবে ইনিয়েস্তা, রামোস, পিকেরা এখনো আছেন৷ বয়সের ভারে তাঁদের কেউ কেউ এখন কিছুটা নিষ্প্রভ৷ তাতে কী! অভিজ্ঞতার ঝুলিটা নিশ্চয়ই খুব কাজে দেবে স্পেনের৷ সে আশাতেই তো তাঁদের ওপর ভরসা রাখছেন নতুন কোচ ইউলেন লোপেটেগুই৷

লোপেটেগুই-এর প্রথম চাওয়া রাশিয়ায় যেন ২০১৪ বিশ্বকাপটা ফিরে না আসে৷ সেবার শিরোপা রক্ষার মিশন নিয়ে গিয়ে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিল স্পেন৷ বলা চলে স্পেনের ফুটবলে তখন থেকেই শুরু হয় দুঃসময়৷ আশার কথা, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ দিকে জ্বলে ওঠার পর থেকে ধীরে ধীরে প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে অভিজ্ঞ আর নবীন ফুটবলারদের নিয়ে গড়া দলটি৷ এক সময় যে দলের চূড়ান্ত পর্বে ওঠাই ছিল অনিশ্চিত, সেই দল শুধু গা ঝাড়া দিয়ে ওঠেনি, ফেবারিটের তালিকাতেও এখন রাখতেই হয় তাদের৷

 

এই নিয়ে টানা ১১ বার বিশ্বকাপ চূড়ান্ত পর্বে খেলবে স্পেন৷ চলুন দেখে নেয়া যাক দলের সার্বিক চেহারা৷

কোচ

ভিসেন্টে ডেল বস্কের কাছ থেকে দায়িত্ব নেয়া ইউলেন লোপেটেগুই যে এত দূর আসতে পারবেন, শুরুতে অনেকেই তা ভাবতে পারেননি৷ ফুটবলার হিসেবে তেমন কোনো খ্যাতি ছিল না৷ গোলরক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ারের কোনো এক পর্যায়ে রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে এক ম্যাচ আর বার্সেলোনার হয়ে পাঁচ ম্যাচ – ক্লাব ফুটবলে এই তাঁর বড় সাফল্য৷ স্পেনের জাতীয় দল এবং অনূর্ধ্ব ২১ দলেও সুযোগ পেয়েছিলেন৷ তবে খেলেছেন মাত্র একটি করে ম্যাচ৷

কোচ হিসেবেও ক্লাব ফুটবলে তেমন কোনো সাফল্য পাননি লোপেটেগুই৷ তবে স্পেনের অনূর্ধ্ব ১৭, ১৯, ২০ এবং ২২ দলে রেখেছেন ধারাবাহিকতার স্বাক্ষর৷ তাই ২০১৬ সালে আসে জাতীয় দলের কোচ হওয়ার সুযোগ৷ এবং তাঁর দায়িত্বে যেহেতু স্পেন টানা ১৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকতে পেরেছে, তাই বলতেই হয়, সুযোগটা ভালোই কাজে লাগিয়েছেন তিনি৷

গোলরক্ষক

একসময় মনে হচ্ছিল আবার বুঝি গোলপোস্ট সামলানোর দায়িত্বটা ফিরিয়ে দিতে হবে বর্ষীয়ান ইকার কাসিয়াসের কাঁধে৷ প্রথমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং তারপর স্পেন দলের হয়ে দারুণ আস্থার পরিচয় রেখে সেই সম্ভাবনা আপাতত দূরে ঠেলেছেন ডাভিড ডে খেয়া৷ এক নম্বর গোলরক্ষক হিসেবে তাঁর জায়গাটা মোটামুটি পাকা৷ রিজার্ভ গোলরক্ষক হিসেবে ২৩ জনের স্কোয়াডে থাকতে পারেন কেপা আরিসাবালাগা৷  

রক্ষণভাগ

সার্জিয়ো রামোস এবং জেরার্ড পিকের জন্য এটাই সম্ভবত শেষ বিশ্বকাপ৷ ৩১ বছর বয়সি পিকে জানিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বকাপের পরে আন্তর্জাতিক ফুটবল আর নয়৷ ৩২ বছর বয়সি রামোসও হয়ত আসর শেষে সেই পথই ধরবেন৷ অভিজ্ঞ পিকে আর রামোসের সঙ্গে রক্ষণভাগে জর্ডি আলবা আর দানি কারভাহালের থাকাটাও প্রায় নিশ্চিত৷

মধ্যমাঠ

বয়স ৩৪ হলেও অসাধারণ বল কন্ট্রোল আর নিখুঁত পাস দেয়ার ক্ষমতা পুরোপুরিই ধরে রেখেছেন ইনিয়েস্তা৷ আর তাই এখনো তিনিই মধ্যমাঠের প্রাণভোমরা৷ মধ্যমাঠের সম্ভাব্য অন্য খেলোয়াড়রা হলেন সার্জিও বুসকেটস, থিয়াগো আলকানতারা, খর্খে কোকে, ফ্রান্সিসকো ‘ইসকো' আলারকন, মার্কো আসেনসিও, সল নিগুয়েস এবং ডাভিড সিলভা৷

আক্রমণভাগ

আক্রমণভাগ নিয়ে সমস্যায় আছে স্পেন৷ তাই গত দু' বছরে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ১০ জনকে দেখেছেন কোচ৷ তবে শেষ পর্যন্ত হয়ত আটলেটিকো মাদ্রিদের ডিয়েগো কস্তা, সেল্টা ভিগোর ইয়াগো আসপাস এবং ভ্যালেন্সিয়ার রডরিগেসই ২৩ জনের দলে সুযোগ পাবেন৷ তবে রেয়াল মাদ্রিদের লুকাস ভাসকেস, চেলসির আলভারো মোরাতা, নাপোলির হোসে কালেহনের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না৷

গ্রুপ পর্ব

এবারের গ্রুপ পর্বে পর্টুগাল, ইরান এবং মরক্কোর মুখোমুখি হবে স্পেন৷ ১৫ জুন পর্টুগালের বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তাদের বিশ্বকাপ৷ তারপর ২০ জুন ইরান এবং ২৫ জুন মরক্কোর সঙ্গে খেলবে তারা৷

এসিবি/ডিজি (এপি)

বন্ধু, এবারের বিশ্বকাপে আপনার প্রিয় দল কোনটি? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷