1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোন দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৫ জানুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশে একতরফা জাতীয় নির্বাচনের দুই বছর পূর্তি হলো৷ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ওই নির্বাচনে ক্ষমতার বাইরে থাকা সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং জোট অংশ নেয়নি৷ আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ওই নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় আসে৷

https://p.dw.com/p/1HYAX
Narayanganj City Corporation Wahlen Flash-Galerie
ছবি: DW/S. Kumar Day

সেই সময় আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে সংবিধান রক্ষার নির্বাচন বলেছিল৷ বিএনপি একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসলেও মধ্যবর্তী সেই নির্বাচনের আর সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্লেষকরা৷

এবার ৫ জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুই দলই কর্মসূচি পালন করেছে৷ আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রের বিজয়' নামে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দু'টি সমাবেশ করেছে৷ তবে কোনো সমাবেশেই ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা৷ ওদিকে বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা' নামে সমাবেশ করেছে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে৷ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এই সমাবেশে যোগ দিয়ে সরকারের সমালোচনা এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করলেও তিনি সরকার বিরোধী নতুন কোন কর্মসূচি ঘোষণা করেননি৷

এবার বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সমাবেশকে ‘সমঝোতার' সমাবেশই বলছেন বিশ্লেষকরা৷

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনেই কোনো নির্বাচন হয়নি৷ একক প্রার্থী থাকায় তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয় লাভ করেন৷ আওয়ামী লীগ দুই তৃতীয়াংশ আসন পায়৷ এরশাদের জাতীয় পার্টি হয় সংসদে বিরোধী দল৷

এই নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তিকে ঘিরে গত বছর চলা বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় কমপক্ষে ৯৫ জন প্রাণ হারান৷ প্রায় তিন মাস ধরে আন্দোলন করার পর সেই অবস্থা থেকে সরে আসে বিএনপি৷ তারা সবশেষ পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশ নেয়৷ বিএনপি নেতারা বলছেন, তাঁরা এখন আন্দোলনের চেয়ে দল গোছানোর কাজেই বেশি মনোযোগী৷ আর নির্বাচনে অংশ নেয়াই এখন তাদের আন্দোলনের কৌশল৷

ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ

জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ (জানিপপ) এর প্রধান এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এটা স্পষ্ট যে বিএনপি তাদের রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করেছে৷ তারা নির্বাচনে ফিরছে৷ তবে বাংলাদেশে নির্ধারিত সময়ের আগে মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা আমি দেখছি না৷ কারণ বিএনপি তাদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি৷''

অধ্যাপক কলিমুল্লাহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেও নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখেন না৷ তিনি মনে করেন, এই সরকারের মেয়াদপূর্তির পর তাদের অধীনেই নির্বাচন হবে৷ বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘সবদেশে সম্ভব হলে আমাদের দেশেও সেটা সম্ভব করতে হবে৷''

তিনি মনে করেন, ‘‘সামনে রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারার সৃষ্টি হতে পারে৷ নির্বাচমুখীতাই তার ইঙ্গিত দেয়৷''

তাঁর মতে, ভিতরে ভিতরে রাজনৈতিক সংলাপ চলছে৷ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা কথা বলছেন৷ বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের এবারের ৫ জানুয়ারির নমনীয় কর্মসূচি দেখলেই তা বোঝা যায়৷

আপনি কি ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ সাহেবের সঙ্গে একমত? জানান নীচে, মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান