৫০ বছর ধরে এ মেশিন টাকা দেয়!
এই মেশিনটি ধীরে ধীরে সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ছে৷ টাকা তোলার মেশিন৷ মেশিনটির আসল নাম, ‘অটোমেটেট টেলার মেশিন’, সংক্ষেপে এটিএম৷ এই টাকার মেশিনের বয়স ৫০ হয়ে গেল৷
আবিষ্কারকের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক
এটিএম মেশিনের উদ্ভাবক স্কটল্যান্ডের জন শেফার্ড ব্যারন৷ তাঁর সঙ্গে যে বাংলাদেশের একটা সম্পর্ক আছে এটা অনেকেই হয়ত জানেন না৷ ভারতবর্ষ যখন ব্রিটেনের উপনিবেশ ছিল, তখন জন শেফার্ড ব্যারনের বাবা উইলফ্রেড শেফার্ড ব্যারন কিছুদিন চট্টগ্রাম বন্দর কমিশনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন৷
যখন থেকে এটিএম-এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে
জন ব্যারন শেফার্ড ঠিক কবে এটিএম উদ্ভাবন করেছিলেন, তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন৷ তবে জানা গেছে, এটিএম প্রথম জনসেবা শুরু করেছিল ১৯৬৬ সালে৷ তবে তখনই তা জনপ্রিয় হয়নি৷ ১৯৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ব্যাংকে এটিএম মেশিন স্থাপন করার পর থেকেই দ্রুত বাড়তে থাকে এর জনপ্রিয়তা৷
ইউরোপে এটিএম
ইউরোপে এটিএম আসে ঊনিশ শতকের সত্তরের দশকে৷ এমনকি তখনকার পূর্ব জার্মানিতেও তখন এটিএম-এর চল শুরু হয়৷
টাকার মেশিনেও টাকার অভাব
সাধারণ মানুষদের অনেকেই মনে করেন, এটিএম বুঝি এমন এক যন্ত্র যার টাকা কোনোদিন শেষ হয় না৷ সেটা যে বড় ভুল, তা গ্রিসের সাধারণ মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন৷ ২০১৫ সালে অর্থনৈতিক সংকট যখন চরমে তখন সে দেশে কিছুদিন কেউ দিনে ৬০ ইউরোর বেশি তুলতে পারেননি৷ টাকার ঘাটতি পূরণের জন্য তখন ব্যাংক বন্ধও রাখতে হয়েছে৷
ভারতবাসীও টের পাচ্ছে
নরেন্দ্র মোদী সরকার ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করার পর ভারতে দেখা দিয়েছে অন্যরকম এক সংকট৷ শহরে শহরে ব্যাংকের সামনে এখন লম্বা লাইন৷ এটিএম বুথেও লাইন লেগে থাকে গভীর রাত পর্যন্ত৷
মুসলিম বিশ্বেও জনপ্রিয়
অনেক মুসলিম প্রধান দেশের ব্যাংকগুলোতেও এখন এটিএম-এর ছড়াছড়ি৷ ওপরের ছবিটি ইরানের৷
কারাবন্দিদের জন্য!
হ্যাঁ, এখন কয়েদিদেরও এটিএম ব্যবহারের সুবিধা দেয়া শুরু হয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লু্ইসের কারাগারে বেশ আগেই কয়েদিদের শর্তসাপেক্ষে এটিএম ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হয়েছে৷
সন্ত্রাসীদের টার্গেট
ইদানীং কোথাও কোথাও সন্ত্রাসীরা এটিএম বুথ ভেঙে টাকা লুট করতে শুরু করেছে৷ সম্প্রতি জার্মানির বার্লিনেও একাধিকবার এমনটি ঘটেছে৷
আর টু-ডি টু
স্টার ওয়ার ছবির আর টু-ডি টু রোবটের কথা মনে আছে? ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবে রয়েছে সেই রোবটের আকারের এটিএম বুথ৷ স্টার ওয়ার-এর ভক্তদের অনেকেই জাগরেবে যান শুধু ওই এটিএম বুথ দেখতে৷