২০১৬ সালের সেরা ‘ইকো’ গ্যাজেট
স্মার্টফোন, স্মার্ট টিভি সহ নানা ডিভাইস ছাড়া আজকের জীবনযাত্রা যেন অচল৷ এবারের সিইএস মেলায় ভবিষ্যতের নানা গ্যাজেট দেখা গেল৷ তার মধ্যে কয়েকটি আবার পরিবেশবান্ধব৷
সৌরশক্তি দিয়ে রান্না
নাম ‘গো সান স্টোভ’৷ দেখলে মনে হবে ইলেকট্রিক বার্বিকিউ৷ কিন্তু তাতে ইলেকট্রিকের কোনো চিহ্ন নেই! শুধু সৌরশক্তি দিয়ে রান্না করা যায়৷ ২০০ ডিগ্রি পর্যন্ত উত্তাপ সৃষ্টি করতে পারে এই যন্ত্র৷ প্রস্তুতকারকের দাবি, মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ৮ জনের খাবার তৈরি করা যায়৷
‘বুদ্ধিমান’ শাওয়ার
‘হাইড্রাও’ কোম্পানির শাওয়ার দিয়ে পানি সাশ্রয় করা সহজ৷ ৫০ লিটারের বেশি পানি খরচ হলেই শাওয়ার হেডে আলো জ্বলতে থাকে৷ তারপর সে পানির ব্যবহার নথিভুক্ত করে৷ এ সব করতে তার ব্যাটারিরও প্রয়োজন পড়ে না৷ পানি চলাচল থেকেই সে তার প্রয়োজনীয় শক্তি শুষে নেয়৷
ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার
এ যেন ব্যাটমানের ‘ব্যাটমোবিল’ আর সাধারণ স্পোর্টস কারের মিশ্রণ! নাম এফএফজেডইআর০১৷ ফ্যারাডে কোম্পানির এই গাড়ির ইলেকট্রিক ইঞ্জিন রয়েছে৷ অদূর ভবিষ্যতেই এই গাড়ি পথে নামতে চলেছে৷
প্যান্টের পকেটে মিনি বিদ্যুৎ কেন্দ্র
বিদ্যুৎ ছাড়াই মোবাইল ফোন চার্জ করতে ভবিষ্যতে ‘জাক মাই এফসি’ ব্যবহার করা যাবে৷ আকারে-আয়তনে ডিভাইসটি স্মার্টফোনেরই মতোই দেখতে৷ লবণ, পানি ও মেটাল অক্সাইড দিয়ে হাইড্রোজেন উৎপাদন করা হয় এই যন্ত্রের মধ্যে৷ এক ফুয়েল সেল সেই হাইড্রোজেনকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে৷ ফলে বাইরের বিদ্যুতের আর প্রয়োজনই থাকবে না৷
বুদ্ধিমান রেফ্রিজারেটর
ফ্রিজে দুধ আছে কি? চিজ কতদিন পর বাসি হয়ে যাবে? বাজারে গিয়ে এই সব প্রশ্ন মনে এলে সাহায্য করতে পারে ‘ফ্যামিলি হাব রেফ্রিজারেটর’৷ ফ্রিজের বাইরে বিশাল ডিসপ্লে, ভেতরে ক্যামেরা৷ মোবাইল অ্যাপ দিয়ে দূর থেকেও সেই দৃশ্য ‘লাইভ’ দেখা যায়৷ একটি বারকোড স্ক্যানার সেইসঙ্গে খাবারের এক্সপায়ারি ডেট বা পচনের তারিখও মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়৷ ফলে অপচয় এড়ানো সহজ হয়৷
সবজান্তা কফি মেশিন
বার্লিনের স্টার্টআপ কোম্পানি ‘বোনাভ্যার্ডে’-র পরিবেশবান্ধব কফি মেশিন শুধু কফি তৈরি করে না, কফি বিন ভাঙিয়ে, রোস্ট করে নিতেও পারে৷ মেশিনের মালিক কোম্পানি অনুমোদিত চাষির কাছ থেকে কাঁচা, সবুজ কফি বিন কিনতে পারেন৷ এমন ব্যবস্থার ফলে আলাদা করে কফি রোস্ট করার প্রয়োজন পড়ে না৷ দীর্ঘ পরিবহণের প্রয়োজন কমে যাবে৷
চটজলদি ইলেকট্রিক স্কুটার
‘গোগোরো’ কোম্পানির ইলেকট্রিক স্কুটার এতকাল শুধু তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতেই দেখা যেত৷ এবার ইউরোপেও সেটি পাওয়া যাবে৷ এর বিশেষত্ব হলো, মালিককে কয়েক ঘণ্টা ধরে ব্যাটারি চার্জ করতে হবে না৷ তার বদলে তিনি গোগোরো চেঞ্জিং স্টেশনে গিয়ে খালি ব্যাটারি জমা দিয়ে চার্জ করা ব্যাটারি নিয়ে যেতে পারবেন৷ ফলে দূরপাল্লা পাড়ি দিতে পারবে এই স্কুটার৷ সিইএস মেলা সম্পর্কে আরও জানতে উপরের ডান দিকের লিংকে ক্লিক করুন৷