২০১৪ সালের মধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্ব হাতে নেবে আফগানিস্তান
২০ জুলাই ২০১০আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেন, ''আমি নিশ্চিত আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ২০১৪ সালের মধ্যে দেশের সামরিক ও আইন প্রয়োগের দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিতে পারবে৷'' তিনি বলেন, ''আমাদের জাতীয় সম্পদ, ইচ্ছাশক্তি এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দারিদ্র্য থেকে সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তাহীনতা থেকে স্থিতিশীলতার দিকে নিজেদের নিয়ে যাওয়ার এক দারুণ সুযোগ রয়েছে৷''
আফগানিস্তানের কয়েকটি অংশে চলতি বছর শেষ হবার আগেই বিদেশি সৈন্য সংখ্যা কমানোর ব্যপারে সম্মেলনে ঐকমত্য হয়েছে৷ তবে এই কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দেশটিতে মোতায়েন ন্যাটো নেতৃত্বাধীন ১ লাখ ৫০ হাজার বিদেশি সৈন্য তালেবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে এবং তাদেরকে নিরস্ত্র করতে এখনও হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে৷
আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে আফগান রাজধানী কাবুল৷ কিন্তু তারপরেও সম্মেলন নস্যাৎ করতে জঙ্গিরা বিমানবন্দরের কাছাকাছি এবং কূটনৈতিক এলাকায় প্রায় মধ্যরাত নাগাদ পাঁচটি রকেট ছোঁড়ে৷ তবে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি৷ তবে রকেট হামলার পর জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনকে বহনকারী একটি বিমান কাবুল বিমান বন্দর থেকে সরাসরি সম্মেলন কেন্দ্রে না গিয়ে ন্যাটোর বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে অবতরন করে৷
আগামী বছর জুলাই থেকে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করার পরিকল্পনা করেছে জাতিসংঘ৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন সম্মেলনে এই সময়সীমা সম্পর্কে বলেন, জরুরি প্রয়োজনের কথা মনে রেখে এবং আফগান সরকারের কাছে নিরাপত্তার সব সরঞ্জামাদি এই সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেয়ার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েই এই সময় নির্ধারণ করা হয়েছে৷ জাতিসংঘ মহাসচিব বান বলেন, ''আফগান জনগণের কাছে আমার বার্তা, জাতির স্বার্থে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন৷''
এদিকে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ সম্মেলনে বলেছেন, দেশটি সঠিক পথেই এগুচ্ছে৷ তিনি বলেন, সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ২০১১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সঠিক অবস্থানেই রয়েছে৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল- ফারূক