1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকার বাজেট

১০ জুন ২০১০

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের হাতে পেশ হলো বাংলাদেশের মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় বাজেট প্রস্তাব৷

https://p.dw.com/p/Nn93
অর্থমন্ত্রী এযাবত সবচেয়ে বড় অঙ্কের বাজেট পেশ করেছেন৷ছবি: Samir Kumar Dey

ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং ১০ বছর মেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনার প্রথম বছর হওয়ায় বাজেটটি সম্পদ আহরণ, সম্পদের বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ৷

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে অধিবেশন কক্ষে আসার পর অর্থমন্ত্রী দিন বদলের দ্বিতীয় বাজেট উপস্থাপনের অনুমতি চান৷ এর আগে মন্ত্রীসভার সংক্ষিপ্ত বৈঠকে বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়৷ বিকেল ৪টায় শুরু হয় ২০১০-১১ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা৷

বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদা মোকাবিলা, মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার মতো চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত৷ মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৯২ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা৷ বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার হবে ৬.৭ শতাংশ৷ পিপিপিসহ বেসরকারী খাতে ঋণ যোগান বাড়িয়ে বেসরকারী খাতের বিনিয়োগ বেগবান করে বৈদেশিক খাতকে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রেখে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে রাখার চেষ্টা করা হবে৷

মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় বাজেটের আকার জিডিপির ১৬.৯ শতাংশ৷ এই বাজেট আগের ৩৯টি বাজেটের চেয়ে সর্বোচ্চ৷ বাজেটে ব্যয়ের জন্য অর্থ যোগাতে সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৯২ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা৷ বাজেটে অনুন্নয়নসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৯৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা৷ আর এডিপি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা৷ বাজেটের ঘাটতি ৩৯ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা পূরণে সরকারকে নির্ভর করতে হবে মূলত বিদেশী ঋণে ও অনুদানের উপর৷

সরকারের আয় ব্যয়ের চিত্র তুলে ধরে দীর্ঘ বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বললেন, বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলা, রপ্তানী বৃদ্ধি, বিনিয়োগ স্থবিরতা কাটিয়ে শিল্পোৎপাদন বাড়াত ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন৷ নির্বাচনী ওয়াদা পূরণে মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য এবার বাজেটের আকার বেড়েছে৷

বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে জন প্রশাসন খাতে ৩৮ হাজার ১৩৩১ কোটি টাকা৷ এর পরই আছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত৷ বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত৷ শেয়ার বাজারে নতুন করের বিস্তৃতিসহ ৩০টির বেশী সেবা বাণিজ্য খাতে করের আওতা বাড়ছে৷ সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বে উন্নয়ন কাজ বা পিপিপিতেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে৷ বাড়ছে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাও আরো রয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশেষ তহবিল৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন