1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

Islamische Revolution Jahrestag

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০

১৯৭৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইরানে শাহ সরকারের পতন ঘটে৷ তাই এই দিনটি ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৩১তম বর্ষপূর্তি৷ ইসলামি বিপ্লবের ইতিহাস টালমাটাল৷ দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মী ছবি পাওয়া যায় এর-যার একটির সাথে আর একটির তেমন মিল নেই৷

https://p.dw.com/p/Lycd
ইসলামি বিপ্লবের জনক আয়াতুল্লাহ রোহুল্লা খোমেনি (মাঝে) এবং তাঁর সমর্থকরাছবি: irani

একটিতে আশাব্যঞ্জক মানুষের ছবি - যারা ইরানে আরো গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার ও মানুষের মর্যাদাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন, যারা একনায়ক শাহ এর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন এবং তাঁর পতনে বিরাট অবদান রেখেছেন৷ তাঁরা রক্তাক্ত অতীত মোকাবেলা করে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছেন৷

দ্বিতীয় ছবিটি হল বর্তমানের ভাগ্যবিড়ম্বিত সমাজের৷ যাঁরা বর্তমান সরকারের দমনের শিকার৷ ইরানে ইসলামি শাসকরা ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে যে কোন কিছু করতে প্রস্তুত৷ দেশটিতে প্রতিদিন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে চরমভাবে৷ হুমকি, গ্রেপ্তার এবং এমনকি ফাঁসি দিয়ে তেহরানের ক্ষমতাসীনরা অসন্তুষ্ট সমাজকে দমন করতে সব ধরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন৷

Massendemos zum Jahrestag der islamischen Revolution im Iran 2010
গণ বিক্ষোভ ঠেকাতে পারছেন না বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদছবি: ILNA

ইসলামি বিপ্লবের ইতিহাস হল বাস্তবতা ও অবাস্তবতার মধ্যে লড়াই এর ইতিহাস, অতীতের আশা এবং বর্তমানের হতাশার ইতিহাস৷ তবে জনসাধারণ তাঁদের অতীতের স্লোগান ভুলে যান নি, তাঁরা সেগুলো এখনো স্মরণ করেন - যদিও তাঁদের লক্ষ্য অর্জিত হয় নি৷

এই পরিস্থিতিতে তরুণ সমাজ এগিয়ে এসেছে৷ বিশেষ করে বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর৷ ইরানের বিভিন্ন জেল ইতিমধ্যে ভরে গেছে প্রতিবাদ বিক্ষোভকারী দিয়ে৷ ৩১ বছর আগে ইসলামি বিপ্লবের সাথে ছিলেন অনেকে৷ আজ বিপ্লবের ৩১তম বর্ষপূর্তিতে বিরোধীরা নেমেছে প্রতিবাদ বিক্ষোভে৷

সংবাদভাষ্য : জামশেদ ফারুঘি ভাষান্তর : আবদুস সাত্তার

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক