1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিম শীতল চিকিৎসা

৮ নভেম্বর ২০১৫

ক্রাইওথেরাপি বলতে তাই বোঝায় বটে৷ মুক্ত পৃথিবীতে যেরকম ঠান্ডা নেই, মানবদেহকে সেই পর্যায়ের ঠান্ডায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার ধুম এখন জাপান থেকে ইউরোপ হয়ে অ্যামেরিকায় ছড়াচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1H0uv
Deutschland Schmelzende Menschen aus Eis in Berlin
ছবি: AP

ক্রাইওথেরাপির প্রবক্তারা বলছেন, এই ট্রিটমেন্ট দিয়ে নাকি ব্যথা বা প্রদাহ কমানো যায়; এর ফলে রক্তচলাচল ভালো হয়, ওজন কমানো যায়; ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে, এমনকি তারুণ্য ধরে রাখা যায়; ডিপ্রেশন বা বিষাদগ্রস্ততা কমানো যায়৷

ওদিকে ট্রিটমেন্টটা ঠিক ছেলেখেলা নয়৷ গত মাসেই লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি স্পা-র এক কর্মীকে ক্রাইওথেরাপির মেশিনরুমে মৃত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়৷ ক্রাইওথেরাপির জন্য প্রয়োজনীয় অতি নিম্ন তাপমাত্রা সৃষ্টি করা হয় তরল নাইট্রোজেন দিয়ে৷ এভাবে কোল্ড চেম্বার বা ঠান্ডাঘরটির তাপমাত্রা নামানো হয় মাইনাস ১১০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ১৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে৷ পেশেন্ট সেই কোল্ড চেম্বারে ঢুকে দু' থেকে চার মিনিট কাটাবেন – এই হল থেরাপি বা চিকিৎসা৷

শোনা যায় ক্রাইওথেরাপির সূচনা নাকি জাপানে, গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে৷ গেঁটেবাতের ব্যথা সারানোর জন্য নাকি ক্রাইওথেরাপি ব্যবহার করা হয়েছিল৷ পরে পেশাদারি ক্রীড়াবিদরা নানাধরনের ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহ সারানোর জন্য ক্রাইওথেরাপি ব্যবহার করতে শুরু করেন৷ সেখান থেকে ক্রাইওথেরাপির চল সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে৷ আজ এই চিকিৎসাপদ্ধতি মূলত পূর্ব ইউরোপে ব্যবহার করা হয়৷ ২০১১ সালে ওয়েলস-এর গোটা রাগবি দল নাকি পোল্যান্ডে গিয়েছিল ক্রাইওথেরাপি করাতে৷ এনবিএ-র ক্লিভল্যান্ড ক্যাভালিয়ার্স বাস্কেটবল দলের ট্রেনিং সেন্টারে নাকি তাদের নিজস্ব ক্রাইওথেরাপি চেম্বার আছে৷ কিছু কিছু স্পা, স্পোর্টস মেডিসিন ক্লিনিক, ওয়েলনেস সেন্টার ইত্যাদিতেও ক্রাইওথেরাপি ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে৷

বিশ্বে সবচেয়ে নীচু তাপমাত্রা যা মাপা হয়েছে তা হল মাইনাস ৮৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরো বেশি গবেষণা ছাড়া ক্রাইওথেরাপির প্রভাব বা ফলাফল সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়৷ ক্রাইওথেরাপির নন-মেডিক্যাল প্রয়োগ বা কার্যকারিতা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কিছু বলার নেই বলে তারা জানিয়ে দিয়েছেন; কিন্তু ক্রাইওথেরাপি পেশির ব্যথা সারাতে পারে, বা ক্ষত নিরাময় ত্বরান্বিত করতে পারে, বা রক্তচলাচল বাড়াতে পারে, এ ধরনের চিকিৎসাবিদ্যা সংক্রান্ত দাবি তুললে এফডিএ সক্রিয় হবে৷

কাজেই ড্যালাস-এর ‘ক্রাইওইউএসএ' কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এরিক রাউশার বলেছেন: ‘‘আমরা আমাদের ক্রেতাদের বলি, ট্রিটমেন্ট, প্রোসিডিওর, এ সব কথা ব্যবহার করার কী দরকার ? এ গুলো হল সেশন৷ এরা তোমাদের পেশেন্ট নয়, এরা হল ক্লায়েন্ট৷''

এসি/এসবি (এপি)