হাসতে হাসতে বাড়ি ফিরলেন প্রায় সুস্থ ম্যান্ডেলা
২৮ জানুয়ারি ২০১১কী হয়েছিল ম্যান্ডেলার?
আফ্রিকার মুক্তিসূর্য বলে কথিত নেলসন ম্যান্ডেলার বয়স এখন ৯২ চলছে৷ এই বয়সের কারণেই ভগ্নস্বাস্থ্য হয়ে পড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট৷ বিশেষ করে শ্বাসকষ্টজনিত কিছু সমস্যার জন্য গত বুধবার তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ কিন্তু আজই জোহানেসবার্গের সেই হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেন চিকিৎসকরা৷ সাংবাদিকদের বলা হয়েছে, সংকটমুক্ত এখন নোবেলজয়ী এই মানুষটি৷ তিনি বেশ খোশমেজাজে আছেন৷
হাসতে হাসতেই বাড়ি ফিরেছেন ম্যান্ডেলা
বাস্তবিক তাই-ই হয়েছে৷ অসুস্থ ম্যান্ডেলাকে দেখতে যেসব দর্শনার্থীরা শুক্রবার তাঁর কাছে এসেছিলেন, সকলেই জানিয়েছেন, বেশ সুস্থ আছেন তিনি৷ কথায় কথায় হাসি মস্করা করছেন সকলের সঙ্গে৷ সাংবাদিক সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কেগালেমা মোটলানথে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে বলেন, ‘মাডিবা আমার সঙ্গেও অনেকক্ষণ ঠাট্টা করেছেন আজ৷' প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকার যে জাতিগোষ্ঠীর মানুষ এই নেলসন ম্যান্ডেলা, সেই গোষ্ঠী বৈশিষ্ট্যের কারণে তাঁর নাম মাডিবা৷ সুতরাং ভাইস প্রেসিডেন্টের মন্তব্য থেকেও বেশ বোঝা যাচ্ছে, ম্যান্ডেলা সম্পূর্ণ সুস্থ বোধ করছেন৷
ডাক্তারি নজরদারি কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না
ম্যান্ডেলার চিকিৎসার দায়িত্ব বেশ কয়েকবছর ধরে যাঁর হাতে, দক্ষিণ আফ্রিকার সেনাবাহিনীর সেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক ডাক্তার বিজয়ানন্দ রামলাখন নিজেই হাজির ছিলেন সাংবাদিক সম্মেলনে৷ ম্যান্ডেলার মত ব্যক্তিত্বের শারীরিক সমস্যার খবরে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্বের মিডিয়ার সামনে ডা. রামলাখন জানিয়েছেন, বাড়ি পাঠানো হলেও ম্যান্ডেলার শারীরিক অবস্থার দিকে নজরদারি চলতেই থাকবে চব্বিশ ঘন্টা৷ তার কারণটাও ব্যাখ্যা করেছেন ডা রামলাখন৷ বলেছেন, জীবনের সাতাশটা বছর জেলে বন্দি হয়েই কাটিয়েছেন নেলসন ম্যান্ডেলা৷ তার মধ্যে ১৮ বছর তাঁকে বন্দি রাখা হয়েছিল রবেন আইল্যান্ডে৷ যেখানে প্রতিকূল আবহাওয়ায় তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছিল যক্ষা৷ সেই যক্ষাই তাঁর শ্বাসযন্ত্রের চিরস্থায়ী ক্ষতি করে দিয়েছে৷ তার ওপর এখন বয়সজনিত কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে ম্যান্ডেলার শরীর৷ সুতরাং ডাক্তাররা তো অবশ্যই তাঁকে নজরদারিতে রাখবেন৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ