1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাইড্রোজেন-চালিত গাড়ির বিকল্প

গেয়ারহার্ড সনলাইটনার/এসবি৭ এপ্রিল ২০১৫

গাড়ির বিকল্প জ্বালানির খোঁজ চলছে অনেক দিন ধরে৷ ইলেকট্রিক গাড়ি, হাইড্রোজেন-চালিত ইঞ্জিনের বিকাশের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করছে৷জার্মানির দু'টি গাড়ি কোম্পানি এই প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন ব্যবহারের উপযোগী করার চেষ্টা করছে৷

https://p.dw.com/p/1F3E6
Audi RS Q3
ছবি: picture-alliance/dpa/Maxppp

যে কোনো ইলেকট্রিক গাড়ির মতো ‘হাইমোশন' বিদ্যুতেই চলে৷ ‘মডিউলার' কাঠামোর কারণে তার ইঞ্জিনের অংশগুলিও সাধারণ ফল্কসভাগেনের গাড়ির মতোই দেখায়৷ ‘হাইমোশন' ইঞ্জিন চালায় ফুয়েল সেল৷ সেটি ইলেকট্রিক মোটর-এর জন্য বিদ্যুৎ তৈরি করে৷ তার জন্য চাই হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন৷

তাদের রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার ফলে বিদ্যুৎ ও নির্মল জল সৃষ্টি হয়৷ অর্থাৎ হাইড্রোজেনই ইঞ্জিনের জ্বালানি বহন করে৷ গাড়ি পরীক্ষক ক্লাউস নিডৎসভিৎস বলেন, ‘‘অনেক গাড়িচালকের মনে হাইড্রোজেন গাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ কিন্তু দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই৷ আধুনিক গাড়ির ট্যাংক কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি, যা ফর্মুলা ওয়ান রেসিং প্রতিযোগিতার গাড়িতে ব্যবহার করা হয়৷ এটি পরীক্ষিত ও অত্যন্ত মজবুত৷ তাছাড়া টিনের তৈরি পাতলা পেট্রোল ট্যাংকের তুলনায় এটি অনেক বেশি নিরাপদ৷''

গাড়ির নীচে হাইড্রোজেন ট্যাংকগুলি বসানো থাকে৷ কিন্তু তার ফলে ভিতরের জায়গা মোটেই কমে যায় না৷ বাড়তি হাই ভোল্টেজ ব্যাটারি-টি বিদ্যুৎ জমা রাখে৷ গাড়ি স্টার্ট দেয়া ও গতি বাড়ানোর সময় ব্যাটারি ও হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল একসঙ্গে ইঞ্জিনকে শক্তি জোগান দেয়৷ ফলক্সভাগেন কোম্পানির সব ই-কার-এর মতো ‘হাই মোশান'-এর থ্রি স্টেজ মোটরও পূর্ণ ক্ষমতার একটি ইঞ্জিন৷

সহযোগী আউডি কোম্পানি তাদের এ-সেভেন গাড়িতে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ব্যবহার করছে৷ এইচ-ট্রন নামের মধ্যে ‘এইচ'-এর অর্থ হাইড্রোজেন৷ এ-সেভেন এইচ-ট্রন মডেলটি দেখতে তার সাধারণ সংস্করণের মতোই৷

তবে ‘হাই মোশান'-এর মতো এই গাড়ির বনেট খুললেও হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল দেখা যায়৷ এক্সহস্ট পাইপ থেকে শুধু বাষ্প বেরোয় বলে সেটি প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি৷ ফলে ওজনও কম৷ গাড়ি পরীক্ষক ক্লাউস নিডৎসভিৎস বলেন, ‘‘এই আউডি এ-সেভেন গাড়ির প্রযুক্তি নিয়ে কিছু বলা দরকার৷ এর হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল একেবারে ফল্কসভাগেন-এর মতো৷ তবে এটির মধ্যে ব্যাটারিটি একটু বড়, তাই শক্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০ কিলোওয়াট – অর্থাৎ ২২০ হর্স পাওয়ার৷''

এ-সেভেন এইচ-ট্রন-এর ক্ষমতা সত্যি দেখার মতো৷ মাত্র ৭ দশমিক ৯ সেকেন্ডে গাড়িটি ঘণ্টায় শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার গতি ছুঁতে পারে৷ গাড়ি পরীক্ষক ক্লাউস নিডৎসভিৎস বলেন, ‘‘অনেকেই ভাবতে পারে, হাইড্রোজেন ইঞ্জিনের এই গাড়িটিতে প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক ঠাসা রয়েছে৷ ফলে ‘ফোর হুইল ড্রাইভ সিস্টেম'-এর কোনো জায়গা নেই৷ কথাটা সম্পূর্ণ ভুল, ৬টি চাকাই ইঞ্জিনে চলে৷''

সামনের চাকায় ইলেকট্রিক মোটর হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলে চলে৷ পেছনে দ্বিতীয় ইলেকট্রিক মোটর ব্যাটারিতে চলে৷ ফলে দু'টি অ্যাক্সেলের মধ্যে মেক্যানিকাল পাওয়ার ট্রান্সমিশনের কোনো দরকার পড়ে না৷

এ-সেভেন এইচ-ট্রন-এর আরও চমক রয়েছে৷ হাইড্রোজেন না থাকলে শুধু ইলেকট্রিক মোটরের দৌলতেই গাড়িটি চলতে পারে৷ ক্লাউস নিডৎসভিৎস বলেন, ‘‘এই আউডি এ-সেভেন-এর ব্যাটারি তারের মাধ্যমে বাইরে থেকে চার্জ করা যায়, ফল্কসভাগেন-এর ক্ষেত্রে যা সম্ভব নয়৷ এর সুবিধা হলো, শুধু ইলেকট্রিক শক্তি দিয়েই প্রায় ৫০ কিলোমিটার চলে যাওয়া যায়৷ ফলে জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন বাঁচানো সম্ভব৷''

আরপিএম কাউন্টারের বদলে এইচ-ট্রন-এ এক পাওয়ার মিটার রয়েছে৷ ফলে চালক হাইড্রোজেন ট্যাংক ও ব্যাটারি চার্জ-এর মাত্রার উপর নজর রাখতে পারেন৷ তাছাড়া পর্দায় জ্বালানি চলাচলের গতি-প্রকৃতিও দেখা যায়৷ একবার জ্বালানি ভরে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার এবং মাত্র ৩ মিনিটের ব্যাটারি চার্জ – ফলে এই প্রযুক্তি ইলেকট্রিক গাড়ির তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য