হাইকোর্টের দেয়া রায়কে স্বাগত জানাল এরশাদ
২৭ আগস্ট ২০১০যেমন ডেইলি স্টার হাইকোর্টের রায় নিয়ে প্রতিবেদন ছাপানোর পাশাপাশি এরশাদের শাসনামল সম্পর্কে একটা দীর্ঘ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে৷ প্রথম আলোও এ ধরণের একটি প্রতিবেদন ছেপেছে, যার শিরোনাম হলো ‘‘১০ মাস ধরেই চলছিল ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত''৷ এছাড়া রায় নিয়ে এরশাদের প্রতিক্রিয়া ছাপানো হয়েছে সব পত্রিকায়৷ তবে প্রথম আলোকে এরশাদ বলেছেন যে, তিনি জোর করে কিছু করেননি৷ যা করা হয়েছে তা সময়ের প্রয়োজনেই করা হয়েছিল বলে তিনি বলছেন৷ এদিকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে এরশাদ বলেছেন, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আব্দুস সাত্তার পদত্যাগ করায় বাধ্য হয়েই তিনি ক্ষমতা নিয়েছিলেন৷ দৈনিক ইত্তেফাকে ছাপা হয়েছে খবরটি৷ তবে এবার শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে এরশাদ সরকারের সাহায্য চাইবেন বলে জানিয়েছে ডেইলি স্টার৷ এজন্য তাঁর ছোট ভাই, যিনি আবার মহাজোট সরকারের মন্ত্রীও, সেই জিএম কাদেরকে দায়িত্বও দেয়া হয়েছে৷ এদিকে কালের কন্ঠ এরশাদ শাসনামলে নিহত হওয়াদের স্বজনদের প্রতিক্রিয়া ছেপেছে৷ এদের মধ্যে রয়েছেন ডা: মিলনের মা ও নূর হোসেনের ভাই৷ তাঁরা মনে করছেন, এই রায়ের কারণে সামরিক শাসনামলে হওয়া সব হত্যাকাণ্ডের বিচার এখন সহজ হবে৷
যুদ্ধাপরাধের বিচার
বিচার কাজ ব্যাহত করতে জামায়াত পরিকল্পনা করছিল৷ দলটির ঢাকা মহানগর শাখার আমীর রফিকুলকে গ্রেপ্তারের সময় উদ্ধার করা কাগজপত্র থেকে এমন ধারণা পাওয়া গেছে৷ কালের কন্ঠ এ নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন ছেপেছে৷ যেখানে বলা হচ্ছে, কাগজপত্রগুলোতে যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজে বাধা দিতে জামায়াতের কিছু গোপন পরিকল্পনার উল্লেখ রয়েছে৷ যেমন, কয়েকজন ডাকসাইটে রাজনৈতিক নেতার তালিকা তৈরি, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন, কিন্তু এখন মহাজোট সরকারের সঙ্গে যাঁদের সম্পর্ক ভালো নয়৷ এমন নেতাদের দিয়ে জামায়াত সেমিনারের আয়োজন করবে৷ এসব সেমিনারে তাঁরা যেসব কথা বলবেন পরে তা লিফলেট আকারে প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছে জামায়াত৷ এছাড়া বর্তমান মহাজোটের নেতাদের মধ্যে যাঁরা যুদ্ধাপরাধী, তথ্য-প্রমাণ সহ তাঁদেরও একটা তালিকা তৈরি করা হবে৷ আর বর্তমানে যাঁদের যুদ্ধাপরাধী বলা হচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ অন্যান্যদের বিভিন্ন সময়ে তোলা ছবিও প্রচারের পরিকল্পনা করছে দলটি৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী