1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাইকোর্টের দেয়া রায়কে স্বাগত জানাল এরশাদ

২৭ আগস্ট ২০১০

এরশাদের শাসনামল নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়ই আজকের সব পত্রিকার প্রধান খবর৷ কোনো কোনো পত্রিকা এ নিয়ে দু-তিনটা রিপোর্ট করেছে৷

https://p.dw.com/p/OxO5
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

যেমন ডেইলি স্টার হাইকোর্টের রায় নিয়ে প্রতিবেদন ছাপানোর পাশাপাশি এরশাদের শাসনামল সম্পর্কে একটা দীর্ঘ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে৷ প্রথম আলোও এ ধরণের একটি প্রতিবেদন ছেপেছে, যার শিরোনাম হলো ‘‘১০ মাস ধরেই চলছিল ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত''৷ এছাড়া রায় নিয়ে এরশাদের প্রতিক্রিয়া ছাপানো হয়েছে সব পত্রিকায়৷ তবে প্রথম আলোকে এরশাদ বলেছেন যে, তিনি জোর করে কিছু করেননি৷ যা করা হয়েছে তা সময়ের প্রয়োজনেই করা হয়েছিল বলে তিনি বলছেন৷ এদিকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে এরশাদ বলেছেন, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আব্দুস সাত্তার পদত্যাগ করায় বাধ্য হয়েই তিনি ক্ষমতা নিয়েছিলেন৷ দৈনিক ইত্তেফাকে ছাপা হয়েছে খবরটি৷ তবে এবার শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে এরশাদ সরকারের সাহায্য চাইবেন বলে জানিয়েছে ডেইলি স্টার৷ এজন্য তাঁর ছোট ভাই, যিনি আবার মহাজোট সরকারের মন্ত্রীও, সেই জিএম কাদেরকে দায়িত্বও দেয়া হয়েছে৷ এদিকে কালের কন্ঠ এরশাদ শাসনামলে নিহত হওয়াদের স্বজনদের প্রতিক্রিয়া ছেপেছে৷ এদের মধ্যে রয়েছেন ডা: মিলনের মা ও নূর হোসেনের ভাই৷ তাঁরা মনে করছেন, এই রায়ের কারণে সামরিক শাসনামলে হওয়া সব হত্যাকাণ্ডের বিচার এখন সহজ হবে৷

যুদ্ধাপরাধের বিচার


বিচার কাজ ব্যাহত করতে জামায়াত পরিকল্পনা করছিল৷ দলটির ঢাকা মহানগর শাখার আমীর রফিকুলকে গ্রেপ্তারের সময় উদ্ধার করা কাগজপত্র থেকে এমন ধারণা পাওয়া গেছে৷ কালের কন্ঠ এ নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন ছেপেছে৷ যেখানে বলা হচ্ছে, কাগজপত্রগুলোতে যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজে বাধা দিতে জামায়াতের কিছু গোপন পরিকল্পনার উল্লেখ রয়েছে৷ যেমন, কয়েকজন ডাকসাইটে রাজনৈতিক নেতার তালিকা তৈরি, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন, কিন্তু এখন মহাজোট সরকারের সঙ্গে যাঁদের সম্পর্ক ভালো নয়৷ এমন নেতাদের দিয়ে জামায়াত সেমিনারের আয়োজন করবে৷ এসব সেমিনারে তাঁরা যেসব কথা বলবেন পরে তা লিফলেট আকারে প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছে জামায়াত৷ এছাড়া বর্তমান মহাজোটের নেতাদের মধ্যে যাঁরা যুদ্ধাপরাধী, তথ্য-প্রমাণ সহ তাঁদেরও একটা তালিকা তৈরি করা হবে৷ আর বর্তমানে যাঁদের যুদ্ধাপরাধী বলা হচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ অন্যান্যদের বিভিন্ন সময়ে তোলা ছবিও প্রচারের পরিকল্পনা করছে দলটি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী